এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ভুবনেশ্বরে পৌঁছলেন পার্থ। বিমানবন্দর থেকে তাঁকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় এইমসে। কিন্তু এইমসে ঢোকার মুখে বাঙালি যুবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থকে দেখেই তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকতে ভুবনেশ্বরে এলেন কেন’?
মূলত বাংলা থেকে যাঁরা চিকিৎসা করাতে এইমসে এসেছিলেন সেই রকমই একদল বাঙালি যুবক এ দিন বিক্ষোভ দেখান। যেই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অ্যম্বুলেন্স হাসপাতালে ঢোকে, সঙ্গে-সঙ্গে তাঁরা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বলতে থাকেন, ‘বাংলায় শাসনব্যবস্থা নেই কিছু। সব দালাল। সেখানে সব পুলিশ, হাসপাতাল সরকারের হয়ে কাজ করছে।’
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘মায়ের হার্টের অপারেশনের জন্য ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আর স্বাস্থ্যসাথী? আমাদের রাজ্যে সেই নেই। স্বাস্থ্যসাথী থাকলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন ভুবনেশ্বর এসেছেন’? আর এক বাঙালি যুবক বলেন, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাইছি। যদি মন্ত্রীরা রাজ্যবাসীকে সঠিক ভাবে পরিষেবা দিতে না পারেন তাহলে মন্ত্রী হয়েছেন কেন’?
রোগীর আত্মীয়রা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বলতে থাকেন, বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থার অবনতির কথা। তাঁদের দাবি, সেই কারণেই তাঁদের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে এসে চিকিৎসা করা হচ্ছে।