জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া এবং রাজ্যকে কেন্দ্র শাসিত রাজ্য ঘোষণা করার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের পর শ্রীনগরের সিভিল সেক্রেটিয়েট এর বিল্ডিং থেকে জম্মু কাশ্মীরের ঝাণ্ডা হটিয়ে দেওয়া হল। এবার থেকে ওখানে শুধু দেশের পতাকাই উড়বে।
জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের তকমা দেওয়া ৩৭০ ধারা আর ৩৫-এ তুলে দেওয়ার পর শ্রীনগরের সিভিল সেক্রেটিয়েট এর বিল্ডিং থেকে জম্মু কাশ্মীরের ঝাণ্ডা হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে জম্মু কাশ্মীরে দুটি পতাকা উত্তোলন করার স্বাধীনতা ছিল, জম্মু কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় ধ্বজ তেরঙ্গার সাথে সাথে জম্মু কাশ্মীরের আলাদা ঝাণ্ডাও উত্তোলন করা হত। কিন্তু এবার থেকে জম্মু কাশ্মীরের আলাদা ঝাণ্ডা এবার ইতিহাস হয়ে গেলো।
জম্মু কাশ্মীরের ঝাণ্ডার রঙ লাল ছিল, আর সেই ঝাণ্ডায় কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মু আর লাদাখকে চিহ্নিত করা তিনটে দাগ ছিল। ওই ঝাণ্ডা রাজ্যের কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করত। ওই ঝাণ্ডা জম্মু কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ ভাবে পরিচিত করাত। ১৯৫২ সালে জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের সংবিধান সভা এই ঝাণ্ডাকে নিজেদের অফিসিয়াল ধ্বজের তকমা দিয়েছিল। এই মাসের শুরুতে সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে জম্মু কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের তকমা হটিয়ে দেয়। এবং জম্মু কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলদা করে দুটি রাজ্যকেই কেন্দ্র শাসিত রাজ্য বলে ঘোষণা করে।
কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর উপত্যকায় অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এছাড়াও স্কুল কলেজ এবং সরকারি অফিস গুলোকেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও কাশ্মীর উপত্যকায় অনেক এলাকা থেকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু আইন ব্যাবস্থা বজায় রাখার জন্য সেখানে এখনো সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে। কাশ্মীরে লাগাতার ২১ দিন ধরে বাজার বন্ধ। দোকান এবং অন্যান্য ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলোও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সার্বজনিক বাহন গুলোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে উপত্যকায় বেশ কিছু সরকারি রেশন দোকান চালু রাখা হয়েছে। এবং মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে মানুষের বাড়ি বাড়ি দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।