হঠাৎ করে নয়, এপ্রিল মাস থেকে চলছিল। এই নজরদারি চলছিল অবশ্যই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অজান্তেই। তিনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন টালিগঞ্জ করুণাময়ীতে ডায়মন্ড সিটি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে, দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পরে এমনটাই দাবি করলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার, শুক্রবার তদন্তে যখন পার্থর বাড়িতে একটি বিশেষ কাগজ পাওয়া যায়, তখন আর ইডি আধিকারিকদের তদন্ত এগোতে অসুবিধা হয়নি।
প্রসঙ্গত, তদন্ত শুরু হয় বিগত শুক্রবারে। ওইদিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি যখন তদন্ত চালাচ্ছিল, তখন তাঁর একটি ছবি খুঁজে পান। সেই ছবিতে লেখা থাকে, ‘অর্পিতা ডায়মন্ড পার্ক। এদিকে, যেহেতু কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে ইতিমধ্যে তথ্য ছিল যে, পার্থ ডায়মন্ড হারবারে কোথাও নিয়মিত যাতায়াত করতেন, তাই আর সেই মহিলাকে চিনতে আর অসুবিধা হয়নি। আর এরপরেই বেগ পায় তদন্ত।
আর এই প্রসঙ্গেই পার্থকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি জানান, “আমার দলীয় সহকর্মী। কাছাকাছি থাকেন”। কিন্তু, এরপরেই ইডির সন্দেহ বাড়ে আরও অন্যান্য ছবি ও কাগজ পাওয়া যায়। সেই সমস্ত ছবি বা কাগজে তারিখ-সহ লেখা থাকে, ‘ওয়ান-সিআর’, ‘ফোর-সিআর’। আধিকারিকদের বুঝতে দেরি হয়নি যে, ‘সিআর অর্থ ক্রোড় অর্থাৎ কোটি টাকা’। আর এতেই তদন্তকারী আধিকারিকরা ধরে ফেলেন যে, এক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছ।
2022-07-24