রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে গেছে এবং ফলাফলও প্রকাশিত হয়ে গেছে। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার দিনেই অর্থাৎ ২১শে জুলাই তারিখে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থীরা। যেখানে এনডিএ প্রার্থী হয়েছেন জগদীপ ধনখড়, সেখানে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হয়েছেন মার্গারেট আলভা। তৃণমূলের দাবি, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিরোধী প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। এরপরেই শুরু হয় কংগ্রেস-তৃণমূল তরজা। মূলত, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যই নতুন দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটাল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি ভোটে জগদীপ ধনকড়কে আমরা সমর্থন করব না। তবে অপরদিকে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে যেভাবে আমাদের উপেক্ষা করে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে, ফলে তাদেরকেও সমর্থন জানাচ্ছি না। তাই আমরা ভোট দান থেকে বিরত থাকবো”। তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধীদের পদপ্রার্থী স্থির করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়। ফলে প্রার্থী স্থির করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আমাদের পছন্দ হয়নি, তাই আমরা ভোট দান করব না”।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ করে মন্তব্য করলেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা। তিনি বলেন, “উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা খুব হতাশাজনক। এটি ইগো কিংবা রাগ দেখানোর সঠিক সময় নয়। সাহস এবং ঐক্য দেখানোর সময় এসেছে। সাহসের প্রতিরূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের পাশে দাঁড়াবেন বলেই আমার বিশ্বাস”।