“মুখ্যমন্ত্রীকেও জেলে যেতে হবে, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও জেলে আছেন,” মনে করালেন সুকান্ত মজুমদার

ছোট চোর হোক বা বড় চোর কেউ বাঁচবে না। কারোর বাঁচার চান্স নেই। পার্থ কাণ্ডের পর এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে হরিয়ানার চৌটলা দুর্নীতির তুলনা করে বলেছেন, একদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও জেলে যেতে হবে।

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দীর্ঘ ২৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে ইডি। পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল অভিনেত্রী অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, ৫০ লক্ষ টাকার গয়না, বৈদেশিক মুদ্রা সহ বিপুল পরিমাণ সম্প্রতি উদ্বার করে ইডি। খোঁজ মিলেছে পার্থ ঘনিষ্ঠ মোনালিসা নামে আরও এক মহিলা অধ্যাপকের। তার নামেও রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। অভিযোগ এই সবটাই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির টাকা।

এই বিরাট দুর্নীতিকে হরিয়ানার চৌটলা দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, চৌটলাদের সময় হরিয়ানায় যে দুর্নীতি হয়েছিল সেটার সাথে তুলনা করার কথা মনে হচ্ছে আমার। হরিয়ানার সেই মুখ্যমন্ত্রী জেলে আছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকেও আজ না হোক কাল জেলে যেতে হবে।” তিনি আরও বলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতির সব তথ্য তালিকাভুক্ত হয়েছে নবান্নের কম্পিউটারে। কারণ দলের বিভিন্ন বিধায়ক সাংসদ প্যাডে লিখে সেই তালিকা নবান্নে পাঠিয়েছেন। নবান্নের একটি কম্পিউটারে তালিকাবদ্ধ হয়েছে সব। নবান্নের সেই কম্পিউটার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিবিআইয়ের উচিত নিজেদের অধীনে নেওয়া।

সুকান্ত মজুমদার অভিযোগের সুরে বলেছেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞাত অবস্থাতেই এই দুর্নীতির নিয়োগ লিস্ট তৈরি হয়েছে। এই দুর্নীতি সম্পূর্ণ ভাবে সরকার প্রযোজিত। সরকার নিজে হাতে এই দুর্নীতি করিয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে প্রত্যেকে এর সাথে জড়িত।”

এই প্রসঙ্গে তিনি ববি হাকিমের করা একটি মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “ফিরহাদ হাকিম একসময় সত্যি কথা বলেফেলেছিলেন, যে যদি কোনো মন্ত্রী দোষী হয় একসময় তো সেই সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় বসে নেওয়া হয়েছে। তাই সেই দায় সবার, সমস্ত মন্ত্রীর। আর সেই মন্ত্রিসভার মাথা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেকে সততার প্রতীক বলে দাবি করেন। ফলে এই দুর্নীতির দায়িত্ব তাকে নিতে হবে। তাকে বলতে হবে এই টাকা কোথা থেকে এল? তার পরিবারের লোকের সম্পত্তির হিসেবেও তাকে দিতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.