ধর্মতলা থেকে ফিরেই রাতে গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের, রক্তারক্তিকাণ্ড আরামবাগে

একুশে জুলাইয়ের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থেকে অশান্তি, গোষ্ঠীদ্বন্দ ইত্যাদির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত্রে, তুমুল অশান্তি ঝামেলা হয় আরামবাগের বোলুন্ডি গ্রামে। ইতিমধ্যেই, এই ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, একজন তৃণমূল কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রাত্রে, আরামবাগের দলীয় কার্যালয় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে আরামবাগ থানার পুলিশ ও র‍্যাফ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায়। সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ভাই তথা এলাকার উপপ্রধান অলোক সাঁতরা এবং তার লোকজন হামলা চালায় আরামবাগের যুব জেলা সাংগঠনিক সভাপতি পলাশ রায়ের গোষ্ঠীর ওপর। এই হামলায় বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। এরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের লোক বলে দাবি করেন। এই হামলার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, ”আমরা মিটিং থেকে ফিরছিলাম। অলোককুমার সাঁতরার লোকজন মারধোর করেছে। বোলুন্ডি আশ্রমের মোড়ে আমাদের মারধোর করে। তিনজনকে মেরে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে।”

অন্যদিকে, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পলাশ রায় অনুগামী হিসেবে পরিচিত রাখুরী সাঁতরা জানিয়েছেন, ”কলকাতা থেকে ফিরে পার্টি অফিসের দিকে যাচ্ছি। দেখি অলোক সাঁতরার কিছু লোক এসে আমাদের ঘিরে ধরল। এরপরই বাঁশ, আর কী কী দিয়ে যেন মারধোর শুরু করে। আমরা তৃণমূল করি। আমরা মিটিংয়ে গেছি বলে মেরেছে।” ওদিকে অলোক সাঁতরা জানিয়েছেন, ”আমরা ধর্মতলায় গিয়েছিলাম। সে সময় সব ভাঙচুর করেছে। আমাদের একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে শুনলাম। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। আমাদের এলাকার কয়েকজন মেয়ে সবটা দেখেছে। ওদের সঙ্গে নিয়ে থানায় যাব। যা হয়েছে আইসি সাহেবের কাছে বলব। ওরা মুখে বলে তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূল করলে তো তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙত না। ওরা পলাশ রায়ের লোক। ধর্মতলার জন্য আমরা দু’ টো গাড়ি ছেড়েছি। ওদের গাড়িতে লোক হয়নি। সেই রাগে এসব করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.