নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যের। আজ, বুধবার সহ– উপাচার্য সামন্তক দাসের দেহ নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এখন তাঁর দেহ এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ সকালে তাঁর বাড়িতে গাড়ি গিয়ে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ হয়। তারপরই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
ঠিক কী ঘটেছে সহ–উপাচার্যের? স্থানীয় সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর সামন্তক দাস প্রয়াত হয়েছেন। তবে বুধবার নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। রাণীকুঠি এলাকায় থাকতেন তিনি। বাড়িতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়ি এসে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডাকা হয়। তখনই ঝুলন্ত দেহ মেলে।
আর কী তথ্য মিলেছে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সহ উপাচার্য সামন্তক দাস কম্পারেটিভ লিটারেচার বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পড়াতেন বাংলা বিভাগেও। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ছাত্রছাত্রীরা তাঁর ক্লাস করতে ভালবাসতেন। তাই তাঁর এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ যাদবপুর। তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ স্টাডিজ স্কুলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সামন্তক।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগেই তাঁর পড়াশোনা। তারপর বহুদিন পড়িয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে। ২০০৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে যোগ দেন। এই ঘটনা কী করে ঘটল? তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। নেপথ্যে অন্য কোনও কাহিনী আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।