নেপালের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন। এমনই দাবি উঠল পড়শি দেশে। নেপালের একটি নাগরিক গোষ্ঠী ভূমি ব্যবস্থাপনা, সমবায় ও দারিদ্র্য বিমোচন মন্ত্রী শশী শ্রেষ্ঠার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে দবি করেছে, নেপালের ভূখণ্ডের একাংশ চিনের দখলে আছে। রাষ্ট্রীয় একতা অভিযানের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডুতে মন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন অভিযানের সভাপতি বিনয় যাদব।
চিনের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রতি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিনয়রা। সম্প্রতি নেপালের সঙ্গে সমন্বয় না করে গোর্খা জেলার চুমানুব্রি গ্রামীণ পৌরসভা-১-এর রুইলা সীমান্তে একটি বেড়া তৈরি করেছে চিন। যা ভালো চোখে দেখছে না নেপালি গোষ্ঠীটি। বিনয় যাদব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধের লঙ্ঘন করে রুইলাসহ নেপাল-চিন সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় দখল করা হয়েছে। এটা শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বেরই অপমান নয়, নেপালের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জও বটে।’
বিনয় যাদব যোগ করেছেন যে নেপালের নিন্দার মুখেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর বারবার হামলা চালাচ্ছে বেজিং। এদিকে নেপালের নিন্দা চিনের অবৈধ উদ্দেশ্যে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে বর্তমান সরকার চিনা আগ্রাসন রুখতে যে পদক্ষেপ করেছে, তার সাধুবাদ জানান বিনয় যাদব। এই আবহে স্মারকলিপিতে লেখা, ‘আমরা সীমান্ত দখলের বিরুদ্ধে এই সরকারের সিদ্ধান্তমূলক এবং কঠোর পদক্ষেপ আশা করি। একতা আভিযান সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানাবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’ এর আগে চুমানুব্রি পল্লী পৌরসভা-৭ এর ছোকাংপারোর এনগুইলা সীমান্তেও চিন এ ধরনের বেড়া তৈরি করেছিল। পরে অবশ্য তা সরিয়ে দেয় চিনা পক্ষ।