বাংলাদেশে বাড়তে থাকছে আমদানি ব্যয়। এই অবস্থায় সেখানে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করছে লোডশেডিং। জাত ফলে, প্রশ্ন উঠছে শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির আকাশের এটাই অশনী সংকেত নয় তো? যদিও, অর্থনীতিবিদরা শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একে অপরের সঙ্গে তুলনা করতে ইচ্ছুক নন। তবুও, সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এইসব ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সেটা হল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এই রিজার্ভেই মূলত ঘাটতি হতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানি ব্যয়ে রাশ টানাটাই মূলত হাতিয়ার। আর এই জন্যেই বিভিন্ন বিলাশদ্রব্য আমদানি বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানি বন্ধ রাখা যায়, সেই পথেই এগোচ্ছে পড়শী দেশ বাংলাদেশ।
কিন্তু, এত প্রচেষ্টার পরেও বাংলাদেশে আমদানী ব্যয়ে রাশ টানা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে এই পড়শী দেশের আমদানি ব্যয়। জানা গেছে, বিগত অর্থ বর্ষের ১১ মাসে আমদানি ব্যয় ৭৫০০ হাজার কোটি টাকা পার করে গেছে। এই আমদানি ব্যয় এই জন্যই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে গেছে, কারণ এর আগের অর্থ বর্ষের এই একই সময়ে হওয়া ব্যয়ের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেড়ে গেছে। উপরন্তু, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪ হাজার কোটি ডলারের নীচে।
2022-07-20