ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আপাতত সবার আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। সোমবারের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ১১৫ জন আইনসভার সদস্য তাঁকে ভোট দিয়েছেন। তবে ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষিই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি হবেন কি না তা এখনও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। কারণ শেষ দফা ভোটে চার জন প্রতিপক্ষ থাকলেও ভোটে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সঙ্গে ঋষির খুব বেশি ফারাক নেই। সে ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ কমলে যখন তাঁদের ভোট শেষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হবে, তখন বদলে যেতে পারে ফলাফল।
ডাউনিং স্ট্রিটের যুদ্ধে বরিস জনসনের জুতোয় পা গলানোর জন্য প্রার্থী বাছাই শুরু হয়েছে বরিসেরই দল কনজারভেটিভ পার্টিতে। দৌড়ে আপাতত ঋষির পরেই রয়েছেন পেনি মরডুয়ান্ট। শেষ দফার ভোটে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৮২। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে যাঁরা বাজি ধরছেন, সেই বুকিরা অবশ্য তাঁদের টাকা ঢেলেছেন মরডুয়ান্টের উপরেই। কিন্তু শেষ দফার লড়াইয়ে তাঁর ভোট কমেছে। ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস তুলনায় ভাল অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের এমনও ধারণা, চতুর্থ স্থানে থাকা বিদ্রোহী সাংসদ কেমি বাদেনোচ লড়াই থেকে ছিটকে গেলে তার পুরো ভোটটাই পেতে পারেন ট্রাস। সে ক্ষেত্রে তিনি আচমকাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শেষ দু’য়ে চলে আসতে পারেন।
বুধবার পরবর্তী দফার ভোট ব্রিটেনে। ওই দিনই ঠিক হবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় শেষ দু’জন কে হতে চলেছেন। তবে তার আগে আরও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে কনডারভেটিভ পার্টির অন্দরে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়়ে থাকা প্রতিপক্ষরা নিজেদের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে পরষ্পরকে দোষারোপ করা শুরু করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা মনে করছেন এই ধরনের ঘটনা দেশের জনতার সামনে পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।
বিরোধী লেবার পার্টিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে একই সঙ্গে তারা জনসনের অবিলম্বে অপসারণের দাবিও তুলেছে। কানজারভেটিভ পার্টি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী উত্তরসূরি নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত বরিসই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। আপতত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।