দোকানে গিয়ে চা বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই কটাক্ষের তীর ছুঁড়তে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। তবে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই যে মমতার এমন উদ্যোগ, সে বিষয়ে বিরোধীরা সবাই একমত। এবার সেই একই কথা বললেন বিজেপি নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ।
শুক্রবার ঘাটালে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন এগিয়ে ভারতী ঘোষ বলেন, চা খাইয়ে ১৮টি আসন ফেরত পেতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এতদিন তাঁর চা বানানোর কথা মনে হয়নি। নরেন্দ্র মোদী চা বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর সেটা দেখেই হয়তো এখন মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা হয়েছে চা বানানোর। ভারতীর কথায়, ”তিনি চা বানিয়ে সবাইকে খাওয়াবেন এবং বলবেন যে তোমাদের চা খাইয়ে দিয়েছি। এবার আমার ১৮টি সিট ফেরত দাও।”
ভারতী ঘোষের আরও কটাক্ষ, হেরে গিয়ে মমতার হুঁশ ফিরেছে। আর তা না হলে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে তিনি এখন চা করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। এর পাশাপাশি সভায় রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, সড়ক, কর্মসংস্থান ইত্যাদির বেহাল দশা বলে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ সূরে দিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
কয়েকদিন আগে দীঘায় গিয়ে একটি সাধারণ চায়ের দোকানে চা তৈরিতে হাত লাগান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চা তৈরির ভিডিও তিনি শেয়ার করেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি হইচই পড়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু আক্রমণ করে বলেন, ‘মোদীজী চা ওয়ালা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর দিদিমণি মুখ্যমন্ত্রী থেকে চাওয়ালি হবেন’। এদিন তিনি শাসক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনাদের জন্য নবান্নে একটা স্টোভ আর রান্নাঘর পাঠিয়ে দেবো। ওখানে বসে চা তৈরি করে আপনারা বিলবন্টন করুন। কটাক্ষ করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মত নেতা-নেত্রীরাও।