খাবার কেনার সময়ে যাত্রীদের ঝক্কি কমাতে এ বার ট্রেনে ট্রেনে কিউআর কোড আনতে চলেছে আইআরসিটিসি। এই ব্যবস্থায় নগদের লেনদেন কমবে এবং বিক্রেতারা অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারবেন না বলেই আশা রেলের। আপাতত নির্দিষ্ট একটি রুটে এই বন্দোবস্ত শুরু হলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য ট্রেনেও এই সুবিধা শুরু হবে বলেই রেল সূত্রে খবর।
শতাব্দী, তেজস, দুরন্ত এবং রাজাধানীর মতো অপেক্ষাকৃত বেশি অর্থমূল্যযুক্ত ট্রেনের টিকিটের ভাড়ার মধ্যেই খাবারের দাম অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু প্যান্ট্রিকারযুক্ত অন্যান্য ট্রেনগুলিতে যাত্রার সময়ে যাত্রীদের আলাদা করে খাবার কিনতে হয়। আর যে ট্রেনগুলিতে প্যান্ট্রিকার থাকে না, সেগুলিতে আইআরসিটিসির নির্দিষ্টকৃত বিক্রেতারা নিজেদের বেস কিচেন থেকে খাবার সরবরাহ করেন। রেল সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ আসছিল এই বিক্রেতাদের একটি বড় অংশ ইচ্ছা মতো দাম চাইছেন যাত্রীদের থেকে। এমনকি, কার্ড ব্যবহার করার বন্দোবস্ত থাকলেও সেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না যাত্রীদের। ফলে নগদ মূল্যেই কিনতে হচ্ছে খাবার। আর সেই সুযোগে বেশি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। এই সমস্যা সমাধানেই এ বার কিউআর কোড আনতে চলেছে আইআরসিটিসি।
রেল সূত্রের খবর, আইআরসিটিসির মেনু কার্ডেই খাবারের সঙ্গে দেওয়া থাকবে এই কিউআর কোড। কিউআর কোড থাকবে বিক্রেতাদের আইডেন্টিটি কার্ডের উপরেও। কোনও যাত্রী চাইলেই এই কোড স্ক্যান করে খাবারের দাম দিতে পারবেন। আপাতত সম্পূরণ ক্রান্তি এক্সপ্রেসে চালু করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। পরে অন্য রুট ও ট্রেনেও এই ব্যবস্থা শুরু হবে।