এবার লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরলেও, মন্ত্রিত্ব নিতে রাজি হননি
অরুণ জেটলি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ তিনি। এবার নিজের জন্য একটু সময় চান। নতুন সরকারে তাঁকে কোনও দায়িত্ব না দিলেই ভালো।

দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ অরুণ জেটলি। ডায়াবিটিসের রোগী তিনি। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন গতবছর কিডনি প্রতিস্থাপনও হয় তাঁর। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী বাজেটের সময় সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত মে মাসেও এক বার এইমসে ভর্তি হন জেটলি। সেই থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে সে ভাবে আর দেখা যায়নি তাঁকে। এবার চলে গেলেন। বড় ভরসার মানুষকে হারালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হারাল বিজেপি। অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে নরেন্দ্র মোদী সকলের কাছেই জেটলি ছিলেন বড় ভরসার মানুষ।

জেটলি অর্থমন্ত্রকে থাকার সময়েই নিশ্চিন্তে নোটবাতিলের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। যোজনা কমিশন তুলে দিয় নীতি আয়োগ গঠন করেছেন। দেশ জুড়ে এক কর ব্যবস্থা জিএসটি চালু করেছেন।

অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। টুইটারে তিনি লেখোন, ‘‘অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকাহত আমি। দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এক জন বুদ্ধিদীপ্ত আইনজীবী এবং অভিজ্ঞ সাংসদ ছিলেন উনি। দেশে গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল ওঁর।’’

আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বিদেশ সফরের মধ্যেই টুইটে লিখেছেন, ‘‘অরুণ জেটলিজির প্রয়াণে এক জন বন্ধু হারালাম আমি। ওঁকে জানার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। ওঁর মতো দূরদর্শিতা এবং উপলব্ধি খুব কম জনের রয়েছে। বহু সুখস্মৃতি রেখে গেলেন। আমরা ওঁর অভাব অনুভব করব।’’

জেটলির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হায়দরাবাদ থেকে দিল্লি ফেরার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘অরুণ জেটলিজির প্রয়াণে শোকাহত আমি। এটা আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি। শুধুমাত্র দলের এক জন শীর্ষ নেতাকেই হারাইনি, পরিবারের এক সদস্যকে হারিয়েছি, আমার কাছে যিনি চিরকাল পথপ্রদর্শক হয় থাকবেন।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.