কমনওয়েলথ গেমসের সময় ভারতের ক্রীড়াবিদরা এক সঙ্গে থাকতে পারবেন না। তাঁদের থাকতে হবে পাঁচটি গেমস ভিলেজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বার্মিংহ্যামের সিটি সেন্টারে আলাদা থাকার ব্যবস্থা হয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য।
২৮ জুলাই থেকে শুরু হবে কমনওয়েলথ গেমস। ২১৫ জন ক্রীড়াবিদ-সহ মোট ৩২৫ জনের দল পাঠাবে ভারত। এই ধরনের গেমসে সাধারণত সব দেশের ক্রীড়াবিদদের এক সঙ্গে একই গেমস ভিলেজে রাখা হয়। কিন্তু বার্মিংহ্যাম গেমসের আয়োজকরা অন্য রকম ব্যবস্থা করেছেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হবে ক্রীড়াবিদদের। মূলত কোভিড সতর্কতা হিসাবেই ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। লন্ডনের বিমানে ওঠার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সকলের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে ক্রিকেটারদের রাখা হবে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজ সিটি সেন্টার বা সিজিসি-তে। সেখানে অন্য কোনও খেলার প্রতিযোগীরা থাকবেন না। অর্থাৎ হরমনপ্রীত কাউর, স্মৃতি মান্ধানারা কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করলেও অন্য খেলার প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হওয়ার সুযোগ থাকছে না। আর পাঁচটা ক্রিকেট প্রতিযোগিতার মতোই থাকবেন তাঁরা। ফলে গেমসের উত্তাপ, উত্তেজনা সরাসরি উপভোগের তেমন সুযোগ পাবেন না হরমনরা। ক্রিকেটের সব ম্যাচই হবে এজবাস্টনে।
সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, জিমন্যাস্টিক্স, হকি এবং স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের রাখা হবে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজ বার্মিংহ্যাম বা সিজিবি-তে। ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, টেবিল টেনিস, ভারত্তোলন এবং ট্রায়াথলনের প্রতিযোগীদের রাখা হবে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজ বা সিজিএন-এ। কুস্তি, জুডো এবং লন বল খেলোয়াড়, কোচ, কর্তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজ ওয়ারউইক বা সিজিডব্লু-তে। সাইক্লিং দলগুলোর থাকার ব্যবস্থা হয়েছে স্যাটেলাইট ভিলেজ বা এসভিএল-এ।
গেমস ভিলেজে ক্রীড়াবিদ, কোচ, কর্তারা কী কী করতে পারবেন এবং কী কী করতে পারবেন না, তা অংশগ্রহণকারী দেশগুলির অলিম্পিক্স সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট সময়ে জানিয়ে দেবেন আয়োজকরা। যে সব খেলায় সরাসরি শারীরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে অর্থাৎ কুস্তি, বক্সিংয়ের মতো খেলার সঙ্গে যুক্তদের কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে কোভিড বিধি।