টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা গুজরাতে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন মোট সাত জন। সোমবার এই মৃত্যুর খবর দিয়েছেন গুজরাতের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী। তিনি জানান, জলবন্দি ন’হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ৪৬৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।রবিবার রাত থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে আমদাবাদ, নভসারি, খেড়া ইত্যাদি জায়গায়।
রবিবার শুধু আমদাবাদেই বৃষ্টি হয়েছে ২১৯ মিলিমিটার। নদী-নালা উপচে ভাসছে একাধিক জেলা। বিধ্বস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। সোমবার গুজরাত প্রশাসন জানিয়েছে, গত ১ জুন থেকে চলা বৃষ্টি, বজ্রাঘাত, দেওয়াল চাপা পড়ার মতো ঘটনায় মোট ৬৩টি প্রাণহানি হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বৃষ্টি এবং বন্যাজনিত কারণে সাত জনের প্রাণ গিয়েছে।
কয়েক দিন ধরেই গুজরাতে ভারী থেকে অতি ভারীর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আইএমডি-র পূর্বাভাস, আরও অন্তত পাঁচ দিন এই দুর্যোগ চলবে। গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এমতাবস্থায়, যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। সামনে এসেছে রাস্তার জলে গাড়ি ডুবে যাওয়ার ছবিও। পশ্চিম রেলের তরফে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি যাত্রিবাহী ট্রেন এবং একটি এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। একতা নগর এলাকায় রেলপথ সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত।গুজরাতের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকে ফোন করে পরিস্থিতির খবরাখবর নিয়েছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন সব রকম সাহায্যের। খবর নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ইতিমধ্যে জলবন্দিদের উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন। যদিও তার মধ্যেই ক্ষণে ক্ষণে নামছে ঝেঁপে বৃষ্টি।