শেষ হয়েছে বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত। চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট ১৬ জন অভিযুক্তের। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এমনই জানাল সিবিআই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে জানান, বগটুইয়ের তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। চার্জশিটও দাখিল করা হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন মোট ১৬ জন।
অন্য দিকে, বগটুই নিয়ে জনস্বার্থ মামলার মামলাকারী আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আর্জি জানান, ঘটনায় এক নাবালক জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এখনই ওই নাবালক যাতে জামিন না পায়, তা নিশ্চিত করা হোক। অন্য এক মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, এখনও বগটুইয়ের ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ গ্রামছাড়া হয়ে রয়েছেন। নিজেদের বাসস্থানে ফিরতে পারছেন না। তাঁদের বাড়ি ফেরার এবং শান্তিপূর্ণ বসবাসের ব্যবস্থা করা হোক।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ওই ঘটনায় অনেকগুলি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেগুলি তৈরি বা সারাই করে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকে বাড়িও ফিরেছেন। তার ভিডিয়োগ্রাফিও রয়েছে। এখনও অবশ্য কয়েক জন গ্রামের বাইরে রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলেই ফিরিয়ে আনা হবে।
গত ২১ মার্চ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমার আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। খুনের অব্যবহিত পরে বগটুই গ্রামে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পর দিন, অর্থাৎ, ২২ মার্চ সকালে আট জনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই।
সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলা এবং স্বতঃপ্রণোদিত মামলারও নিষ্পত্তির কথা জানায়। যদিও পরে মামলাকারীদের আর্জি শুনে আপাতত রায় ঘোষণা স্থগিত রাখে আদালত।