অবৈধ কয়লা কারবার নিয়ে শাসক-বিরোধীর চাপানউতোর শুরু হয়েছে। দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী কয়লার চোরাচালান নিয়ে সরব হয়েছেন। অভিযোগ তুলেছেন, কয়লা মাফিয়াদের টাকা কেন্দ্রে যায়। এবার সরাসরি কয়লার অবৈধ খাদানে গিয়ে হানা দিল আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কয়লা ভর্তি করার সময় লরির চাবি খুলে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন। রবিবার বিকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, রানীগঞ্জের জেকে নগরে।
প্রসঙ্গত, আসানসোল, কুলটি, রানীগঞ্জ, সালানপুর, বারাবনি, জামুড়িয়া, অন্ডাল, পান্ডবেশ্বর, লাউদোহা তাবত খনি অঞ্চলে কয়লা মাফিয়াদের বাড় বাড়ন্ত অনাদিকাল থেকে। অবৈধ কয়লার চোরাচালান নিয়ে সর্বদা বিরোধীরা সরব হয়। অভিযোগ ওঠে শাসকদলের মদতেই চলে কয়লার চোরা কারবার। তবে সম্প্রতি নতুন করে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে কয়লার ‘প্যাড’। অভিযোগ, যা দেখলে সড়কে পুলিশকেও ছেড়ে দিতে হয়। মাস কয়েক আগে অবৈধ কয়লার চোরাচালান ঠেকাতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী সিসিটিভি বসানোর নিদান দেয়। কিন্তু তারপরও যে কয়লার অবৈধ কারবার বন্ধ হয়নি তা এদিনের ঘটনায় প্রমাণ করে। এদিন বিকালে আসানসোল থেকে দুর্গাপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার পথে জেকেনগর এলাকায় রাস্তার পাশে জঙ্গলে অবৈধ কয়লা লোডিং করতে নজরে পড়ে বাবুল সুপ্রিয়র। আর তা দেখে কনভয় ঘুরিয়ে সটান সেখানে পৌঁছায়। মন্ত্রীকে দেখে চম্পট দেয় লরির চালক খালাসী মাফিয়ারা। লরিতে উঠে চাবি খুলে নেয় বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানান,” কয়লার চোরাচালান চলছে, এটাই তার প্রমাণ। পুলিশ ও শাসকদলের মদত রয়েছে, তাই প্রকাশ্যে খুল্লামখুল্লা অবৈধ কয়লা বোঝাই করছে। পুলিশকে জানিয়েছি বিষয়টি।” যদিও তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন জানান,” পুলিশ এসব বিষয় দেখবে। এনিয়ে কোন মন্তব্য করবো না।” আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানান,” এধরনের ঘটনার কোন খবর নেই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”