সংসদীয় নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে খুন হলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ‘প্রিয় বন্ধু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার এ দেশে জাতীয় শোক পালন করা হবে। প্রয়াত শিনজোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধু দীর্ঘ দিনের নয়, নিবিড়ও। শিনজোর দাদুর সময় থেকেই।
২০১৫ সালে শিনজোকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি বসে গঙ্গারতি দেখেন। দু’ বছর পর, ২০১৭ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আমদাবাদ যান। সেখানে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
২০১৮ সালে জাপান সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে নিজের অবসরাবাসে মোদীকে রেখেছিলেন শিনজো। ২০২১ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে শিনজো সব চেয়ে বেশি দিন কাটিয়েছেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময়েও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। ২০১৪ সালে এ দেশে প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি হয়ে এসেছিলেন শিনজো। তখন এ দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তার আগে ২০০৭ সালে সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন শিনজো। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মায়ের বাবার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ভারতের।
১৯৫৭ সালে দিল্লিতে এসেছিলেন শিনজোর দাদু নোবুসুকে কিশি। তিনি তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শিনজোর পরিবারের।