ফের একবার রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই আবহে ফের একবার স্কুলের দরজা বন্ধ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। বুধবার রাজ্যে প্রায় তিন হাজার মানুষ কোভিড আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৭৪ শতাংশ। এই আবহে বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জ্বর এসেছে বলে জানা গিয়েছে। অনেকেই ভুগছেন সর্দি-কাশিতে। এই আবহে ফের কি বন্ধ করে দেওয়া হবে স্কুল?
স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফ বার্তা, ক্লাসরুমের পঠনপাঠন বন্ধের কোনও চিন্তাভাবনা আপাতত তাদের মাথায় নেই। এদিকে সংক্রমণ আরও বাড়লে কী হবে? স্কুলগুলি জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে স্কুল বন্ধের কোনও পরিকল্পনা আপাতত তারা করছে না। তবে এই বিষয়ে আগে অভিভাবকদের মতও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্কুলগুলি।
সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী সপ্তাহ থেকে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের এক দিন অন্তর ক্লাসে ডাকা হবে। প্রাথমিক বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই এক দিন অন্তর ক্লাসে আসছে এই স্কুলে। এদিকে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলও আগামী সপ্তাহ থেকে পড়ুয়াদের পর্যায়ক্রমে স্কুলে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই স্কুলে অনেক পড়ুয়াই জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে শিক্ষা দফতর থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি এই সংক্রান্ত। এই আবহে আগামী সপ্তাহে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে যাদবপুর বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ। এদিকে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা একসঙ্গে একই দিনে স্কুলে আসছে না। তাছাড়া নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলে থাকার সময় কমানো হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল পদক্ষেপ করলেও সরকারি স্কুলগুলি এখনও এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সরকারের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি হলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানাচ্ছেন অধিকাংশ স্কলের প্রধান শিক্ষকরা।