সোমবার গান্ধীনগরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানেই মোদী নিজের স্বপ্নের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উদাহরণ তুলে ধরলেন। প্রধানমন্ত্রী জানালেন কীভাবে একটি তরুণী দু’বছর পর তাঁর পরিবারের মুখ দেখেন আধার কার্ডের দৌলতে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক ভাবে যখন মোদীর মুখে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র কথা শোনা গিয়েছিল, তখন বিরোধীরা তা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে বিগত বছরগুলিতে দ্রুত ভারতীয়রা ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছে। বিশেষত কোভিডকালে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছেন এতে।
এই আবহে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সপ্তাহে’ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সেই তরুণী নিজের হারিয়ে যাওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের গল্প শোনান। পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী অনুষ্ঠান মঞ্চে সেই তরুণীর গল্প শোনান সবাইকে। প্রধানমন্ত্রী জানান, অন্য শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় রেলস্টেশনে তরুণী তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে কয়েকদিনের জন্য আশ্রয় দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে সীতাপুরের একটি অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেন।
সেই তরুণী প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘অনাথ আশ্রমে দুই বছর ছিলাম। যখন আমি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার সময় আসে, তখন আশ্রমের বেশ কয়েকটি মেয়ে তাঁদের আত্মীয়ের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে যেহেতু আমি তা করতে পারিনি তাই অনাথ আশ্রম আমাকে তাদের লখনউ শাখায় স্থানান্তরিত করে।’ প্রধানমন্ত্রীকে তরুণী জানান, সেখানেই আধার কার্ড ইস্যু করতে আধিকারিকরা এসেছিলেন। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরে, আধিকারিকরা অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মেয়েটিকে জানান যে তাঁর ইতিমধ্যেই একটি আধার কার্ড রয়েছে। অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষ এরপর তাঁকে তাঁর আধার কার্ডের তথ্য অনুযায়ী তাঁর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
এই তরুণীর গল্প ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সাফল্য তুলে ধরতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা বলেন। মোদী বলেন, ‘এখন একজন রাস্তার ঠেলার বিক্রেতাও একই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেন যা কিনা একটি মলের শোরুম ব্যবহার করা হয়। আমি একটি ভিডিয়ো দেখেছিলাম যেখানে একজন ভিক্ষুক একটি ডিজিটাল পেমেন্ট QR কোড ব্যবহার করছে!’