পূর্ব বর্ধমানের সাতগেছিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘বাংলা আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, শৌচাগার সব জায়গাতেই বাংলা লেখা হয়েছিল। এখন ভয় পেয়ে সেসব মুছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখা হচ্ছে।’
রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশের দুটি কাজ। পিসি ভাইপোকে নিরাপত্তা দাও আর বিজেপিকে রাস্তায় আটকাও। তাই পশ্চিমবঙ্গে আমরা স্লোগান দিয়েছি রাজনীতি প্রভাবমুক্ত পুলিশ চাই। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কী? একজন তো ১৯০০র আতঙ্কে আতঙ্কিত। কোনওদিন তিনি ভুলতে পারবেন না শুভেন্দুর কাছে তিনি হেরেছেন।’
চাকরি দুর্নীতি নিয়েও তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘আদালত দমকল বিভাগের চাকরির ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এসএসসির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রাইমারি সবে শুরু। হিমশৈলের চূড়ামাত্র।’ এরপর ভাইপোর শব্দটি উল্লেখ করেও তিনি তোপ দাগেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এবার নরেন্দ্র মোদীজি ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছেন। জনজাতি, আদিবাসী, প্রান্তিক পরিবারের দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করেছেন। গত পরশুদিন ইসকনের রথ টানতে গিয়েছিলেন। গতবার ফিরহাদ হাকিম ছিলেন। এবার নুসরত জাহান। সঙ্গে একটা করে থাকবেই। তিনি বলছেন বিজেপি যদি আগে বলত ভেবে দেখতাম। মানে ঠিক বিধানসভার মতো, শুভেন্দুকে যদি বিজেপি প্রার্থী আগে করত তবে দাঁড়াতাম না। ঠেলায় না পড়লে বেড়াল….’