IND vs ENG: দু’জন বিশ্বমানের সিমার রয়েছে, ম্যাচে ফিরতে পারে ভারত- আশা মঞ্জরেকরের

এজবাস্টন টেস্টে আত্মতুষ্টির মাশুল দিতে হতে পারে ভারতকে। প্রথম তিন দিনে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখার পরে চতুর্থ দিনে নিজেদের দোষেই ব্যাকফুটে চলে যায় টিম ইন্ডিয়া। চতুর্থ দিনের শেষে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, যেখান থেকে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। শেষ দিনে জসপ্রীত বুমরাহরা অভাবনীয় কিছু করে না দেখালে প্রথম সেশনেই এজবাস্টন টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে পারে ইংল্যান্ড।

তবে এখনও আশার আলো দেখছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘ভারতের প্রত্যাবর্তনকে উড়িয়ে দেবেন না। এর আগেও ওরা বহু বার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যখন আপনার দু’টি বিশ্বমানের সিমার রয়েছে, তখন একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ভারতও চাইবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হোক।’ 

তৃতীয় দিনের শেষে ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১২৫ রান সংগ্রহ করেছিল। হাতে ছিল ৭টি উইকেট। সেখান থেকে চতুর্থ দিনে ভারতীয় দল অল-আউট হয়ে যায় ২৪৫ রানে। অর্থাৎ ১২০ রানে বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে বসে টিম ইন্ডিয়া।

একটা সময়ে চেতেশ্বর পূজারা- ঋষভ পন্তরাও অনাসায়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠাচ্ছিলেন, তবে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি টপকে যাওয়া দুই তারকার মধ্যেই নিজেদের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চোখে পড়েনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চতুর্থ দিনে ভারতের ৭ জন ব্যাটসম্যান অযথা ব্যাট চালিয়ে উইকেট দেন। পন্ত-শ্রেয়স আইয়াররা তো বটেই, ভুল শটে আউট হন টেল এন্ডাররাও।

চতুর্থ দিনের পিচে ব্যাট করা যে মোটেও কঠিন ছিল না, সেটা বোঝা যাচ্ছিল শুরু থেকেই। আরও বেশি করে সেটা বোঝা যায় দিনের শেষে। যখন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস (৫৬) এবং জ্যাক ক্রাউলি (৪৬) ঝড়ের গতিতে রান তোলেন। পরে জো রুট (৭৬) ও জনি বেয়ারস্টো (৭২) ব্যাট করেন ওয়ান ডে-র মতোই। চতুর্থ দিনের শেষে ৩ উইকেটে ২৫৯ রান ইংল্যান্ডের। জিততে দরকার আর মাত্র ১১৯ রান। হাতে রয়েছে আর ৭ উইকেট।

একটা সময় মনে হচ্ছিল বুঝি, ভারত ধরেই নিয়েছে তাদের হাতে জেতার মতো রান চলে এসেছে। তাই নিতান্ত হাল্কা চালে নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে গিয়ে আসেন পন্তরা। তবে ৩৭৮ রানের টার্গেটও যে ইংল্যান্ডের নাগালের মধ্যেই রয়েছে, টিম ইন্ডিয়া সেটা উপলব্ধি করে দিনের শেষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.