Agnipath Case in Supreme Court: অগ্নিপথের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা, শুনানিতে সম্মত শীর্ষ আদালত

অগ্নিপথের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে একগুচ্ছ আবেদন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অগ্নিপথের বৈধতা খতিয়ে দেখতে মামলা গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি এবং জেকে মহেশ্বরীর বেঞ্চ জানায়, উপযুক্ত বেঞ্চের সামনে মামলাটির শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে। 

এর আগে হর্ষ অজয় সিংয়ের হয়ে এই মামলাটি শীর্ষ আদালতে উত্থাপিত করেছিলেন অ্যাডভোকেট কুমুদ লতা। আদালত এই আবেদনকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে জানায়, ভারতের প্রধান বিচারপতির অনুমোদন পেলে গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে মামলাটিকে তালিকাভুক্ত করা হবে। এদিকে অপর এক আবেদনকারীর হয়ে অ্যাডভোকেট এমএল শর্মাও এই সংক্রা্ত একটি মামলা দায়েরের অনুমতি চান। তাঁর মামলাটিও তালিকাভুক্ত করার জন্য রেজিস্ট্রি খতিয়ে দেখবে বলে জানায় শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শীর্ষ আদালতে অন্তত তিনটি আবেদন জমা পড়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতায়। এই আবহে হ ১৯ জুন কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিল, অগ্নিপথ প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও জনস্বার্থ মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়ার আগে যেন সরকারের বক্তব্য শোনা হয়। 

এর আগে সেনার তরফে ঘোষণা করা হয়, অগ্নিবীর প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত সেনা কর্মীদের মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর বয়সিরা অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবেন। যদিও প্রথম বছরের জন্য অগ্নিবীর প্রকল্পে আবেদন জানানোর ঊর্ধ্বসীমা ২৩ বছর। চাকরির মেয়াদ শেষ হলে’সেবা নিধি প্যাকেজ’-র আওতায় ১১.৭১ লাখ টাকাদেওয়া হবে অগ্নিবীরদের। চার বছরের চাকরি শেষে অগ্নিবীরদের একটি স্কিল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তাতে ওই প্রার্থীর কী কী দক্ষতা আছে,সেই সংক্রান্ত তথ্য দেওযা থাকবে। 

তবে এই প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে জল্পনা, কল্পনা, বিতর্কের অন্ত নেই। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে দেশ জুড়ে। যদিও সরকার ও সামরিক বাহিনীর তরফে বারবার বলা হচ্ছে যে এই প্রকল্প দেশের স্বার্থে আনা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.