বিশ্বের দরবারে বেশ অস্বস্তিতে পাকিস্তান৷ একদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে চিন ছাড়া কাউকেই পাশে পায়নি ইসলামাবাদ৷ এবার সেই চিনের সাথেই রাষ্ট্রসংঘে তীব্র সমালোচিত হল তারা৷ বন্ধু চিন ও পাকিস্তানে বারবার ভুলুন্ঠিত হয়েছে মানবাধিকার, এমনই অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের৷ সেই ইস্যুতেই শুক্রবার চিন ও পাকিস্তানকে একহাত নিল রাষ্ট্রসংঘ৷
মূল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার বঞ্চিত করছে এই দুই দেশ৷ এমনই অভিযোগ জমা পড়েছিল রাষ্ট্রসংঘে৷ সংস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে দুই দেশের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংস্থা৷ বৈঠকে এই ইস্যুতে একযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডা৷ তাদের দাবি ছিল বেজিং ও ইসলামাবাদ তাদের দেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারের প্রশ্নে যত্নশীল নয়৷
তালিকায় ছিল চিনের উইঘুর সম্প্রদায়, পাকিস্তানের হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের তথ্য৷ এই ইস্যুতে চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই বক্তব্য রাখে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি৷ বিশেষত সরব হয় আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডা৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি স্যান ব্রাউনব্যাক জানান, তাঁর দেশ রীতিমত শঙ্কিত সংখ্যালঘুদের ওপর নিয়মিত হয়ে চলা অত্যাচার নিয়ে৷ চিন ও পাকিস্তান দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিক৷ চিনে উইঘুর, কাজাক, মুসলিম, তিব্বতী বৌদ্ধ, ক্যাথলিক, ফালুন গং সম্প্রদায়গুলি দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার৷ কিন্তু দেশের সরকার উদাসীন৷ ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রত্যেক ব্যক্তির থাকা উচিত৷
পাকিস্তান সম্পর্কেও মুখ খোলেন ব্রাউনব্যাক৷ তিনি বলেন কম যায় না ইসলামাবাদও৷ বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার সেখানকার সংখ্যালঘুরা৷ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হিন্দুরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে বেশ কিছু মন্দিরে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়েছে গত কয়েক বছরে৷ অনেক মন্দিরের জমি জবরদখল হয়েছে৷
রিপোর্টে প্রকাশ গত দুদশকে দুই শতাংশেরও বেশি জনসংখ্যা কমেছে পাক হিন্দুদের৷ ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে সরকার বিরোধী বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷ সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার ভঙ্গ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার৷
এদিকে, পাকিস্তান জুড়ে হিন্দুদের বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও৷ গত মাসেই ইমরানের সঙ্গে একটি সাক্ষাতে এই প্রসঙ্গে কথাও হয় বলে খবর৷ এর আগে পাকিস্তানে দুই হিন্দু তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে৷ ভারতীয় দূতাবাসের কাছে সেই বিষয়ে রিপোর্টও চান তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷