জুলাই মাস পড়তেই মহার্ঘ হয়ে উঠল কেরোসিন তেল। রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিন তেলের ‘ইস্যু প্রাইস’ এক ধাক্কায় লিটারে ১৩ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। সুতরাং কেরোসিনের খুচরো বিক্রি লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেরোসিন তেল সেঞ্চুরি করলে মধ্যবিত্ত মানুষের আরও নাভিশ্বাস উঠবে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? পেট্রল–ডিজেলের দাম আগেই বেড়েছে। তার জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। আর গরিব মানুষের জ্বালানির (কেরোসিন তেল) দাম বেড়ে গেলে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে বড় ধাক্কা। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জেরেই এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি প্রতি মাসে যে ইস্যু প্রাইস নির্ধারণ করে, তার সঙ্গে জিএসটি, পরিবহণ খরচ, কমিশন প্রভৃতি যুক্ত করে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে রাজ্যের খাদ্যদফতর।
কত হতে চলেছে কেরোসিনের দাম? জানা গিয়েছে, জুন মাসে কলকাতা এবং সল্টলেকে প্রতি লিটার কেরোসিন তেল রেশনে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮৯ টাকায়। কোনও কোনও জেলায় দাম সেটাই ৯২ টাকা ছুঁয়েছে। সুতরাং জুলাই মাসে কেরোসিনের বিক্রয় মূল্য ১০০ টাকা ছাড়াচ্ছেই বলে নিশ্চিত অনেকে। আর সেটা হলে মানুষের উপর বোঝা চাপবে।
বিষয়টি তাহলে কেমন দাঁড়াবে? এখন ডিজেল–পেট্রলের লিটার প্রতি দাম যথাক্রমে প্রায় ৯৪ টাকা এবং ১০৬ টাকা। এই প্রথম ডিজেলকে টপকে যাবে কেরোসিন। পেট্রল–ডিজেলের উপর কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের কর ও সেস আছে। সেখানে কেরোসিনের উপর শুধুমাত্র ৫ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য হয়। তা সত্ত্বেও কেরোসিন আরও মহার্ঘ হতে চলেছে। কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত বলেন, ‘দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বরাদ্দের ৫০ শতাংশ কেরোসিনই তোলা যাচ্ছে না। জুলাই থেকে বিক্রি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।’