মাত্র ২৪ ঘণ্টা। আর এই কয়টি ঘণ্টার মধ্যেই কানহাইয়া লাল-এর পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করলেন কপিল মিশ্র। তিনি এর জন্য ক্রাউডক্যাশ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নিয়েছিলেন। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ক্রাউডফান্ডিং-এর জন্য বিখ্যাত। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কানহাইয়া লাল-এর মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে একটি ভিডিও বার্তাও পোস্ট করেন কপিল মিশ্র।
আর এই ভিডিও-তে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক অনুদান পাঠানোর আবেদনও রেখেছিলেন। কপিল মিশ্র এই ভিডিও বার্তায় জানান যে কানহাইয়া লাল কতটা নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। এর জন্য ১ কোটি টাকার একটি সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও এই ভিডিও-তে জানিয়েছিলেন কপিল মিশ্র।
কানহাইয়া লাল-এর পরিবারের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে একটি টুইটে লেখেন কপিল মিশ্র। তিনি বলেন যে কানহাইয়ালালের ছেলে যশ-এর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। সকলে যে তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে তা নাকি কানহাইয়া লাল-এর ছেলে যশ-কে জানানো হয়েছে বলে টুইটারে লেখেন কপিল মিশ্র।
১ কোটি টাকার অনুদান সংগৃহীত হওয়ার পর কপিল মিশ্র সব সাহায্যকারীকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে তিনি জানান যে যারা এই আর্থিক সাহায্য করছেন তারা ২৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দান করেছেন। এই ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ঈশ্বর সিং-এর চিকিত্সা এবং পারিবারের দেখভাল করা হবে।
কপিল মিশ্র তাঁর একটি টুইটে ১ কোটি টাকার অর্থের উল্লেখ করে সকলকেই অভিনন্দন জানান। ২৮ জুন রাতে উদয়পুরে নিজের টেলারিং শপে কাজ করছিলেন কানহাইয়া লাল। সেই সময় দুই আঁততায়ী রিয়াজ জব্বর এবং গাউস মহম্মদ এক সঙ্গে টেলারিং শপে যায়। একজন কানাহাইয়া লাল-এর কাছে জামা-কাপড়ের মাপ দেওয়ার আছিলায় আক্রমণ করে। ধারাল অস্ত্রের কোপে কানহাইয়া লাল-এর গলা কেটে দেয় তাঁরা। সেই ঘটনার আবার ভিডিও রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দিয়েছিল। এমনকী ধারাল অস্ত্র নিয়ে হুমকি ভিডিও বানিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছিল দুই আঁততায়ী। বহিস্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপূর শর্মা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে যে মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল কানহাইয়া লাল সেই মন্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানায় দুই আঁততায়ী। এদিকে কানহাইয়া লাল-এর মৃত্যুতে দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়েছে। রোজই এই নৃশংস হত্যার বিরোধিতায় প্রতিবাদ চলছে।