সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। এমনকি, যুক্ত থাকতে পারবেন না কোনওরকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও। নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল শিক্ষা দফতর। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে কর্মরত কোনও শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা বা কোনওরকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এমনকি বিনা পারিশ্রমিকে কোথাও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতেও পারবেন না। স্কুল শিক্ষা দফতরের অধীন নির্দেশালয় এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করার পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনস্থ জেলার আধিকারিকদের মারফত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের কাছেও সেই নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা স্তরের স্কুল ইন্সপেক্টরদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে কোনও জুনিয়র হাই স্কুল, হাই স্কুল অথবা কোনও মাদ্রাসার শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা বা অন্য কোনও ধরনের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। ‘রাইট অব চিল্ড্রেন টু ফ্রি এন্ড কম্পালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯-এর আওতায় যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা-ও জেলা স্তরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সারা ভারতের স্কুল শিক্ষকতা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাতে এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিধি-নিষেধের কথাও জানানো আছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা পাঠানো নিয়ে নানা অভিযোগ আসছিল। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার পরে নতুন করে আবারও নির্দেশিকা জারি করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তাই গত ২৭ ও ২৯ তারিখে পৃথকভাবে নির্দেশিকা জারি করে ফের সরকারি স্কুল শিক্ষকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাক কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন, “শিক্ষকদের সতর্ক করা যেমন শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব। তেমনই পঠনপাঠন যাতে স্কুলে সঠিক ভাবে হয় সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। তাই আমরা বলব শিক্ষকদের দায়িত্ব স্মরণ করানোর পাশাপাশি নিজেদের দায়িত্ব প্রসঙ্গেও শিক্ষা দফতর সচেতন হবে। গরমের ছুটি দীর্ঘায়িত করে আগেই সরকার ছাত্রছাত্রীদের পাঠক্রম শেষ করা নিয়েই তাঁদের বড়সড় প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।”