বিরাট কোহলীর সঙ্গে হয়তো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলতে দেখা যাবে বাবর আজমকে। সম্ভাবনা আগেই তৈরি হয়েছিল। এ বার জল্পনা মাত্রা পেল জয় শাহের কথায়। সব ঠিকঠাক থাকলে পরের বছরই দেখা যেতে চলেছে অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ। এশীয় একাদশের বিরুদ্ধে খেলবে আফ্রিকার একাদশ।
সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, “আমরা এ ব্যাপারে বেশ কিছু প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পেয়েছি। এই প্রতিযোগিতাটা দারুণ। এতে শুধু ব্যবসায়িক লাভই হবে না, আফ্রিকার ক্রিকেটেরও অনেক উন্নতি হবে। আমরা এখন আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখছি।” কোথায় এই প্রতিযোগিতা হবে, সেটা ঠিক করাই আপাতত এসিসি-র মূল দায়িত্ব। উল্লেখ্য, বার্মিংহ্যামে কোহলীদের টেস্ট চলাকালীনই আইসিসি-র বার্ষিক সাধারণ সভা হবে। সেখানেও বিষয়টি উঠতে পারে।
প্রথম বার ২০০৫ সালে এই সিরিজ হয়েছিল। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে তিন ম্যাচের সিরিজ হয়েছিল। তিনটি ম্যাচেই জিতেছিল এশিয়া একাদশ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি হওয়া এশিয়া একাদশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহেলা জয়বর্ধনে। আফ্রিকার একাদশে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে এবং কেনিয়ার ক্রিকেটাররা। ২০০৭-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ায় এই সিরিজ আর হয়নি।
প্রসঙ্গত, আইসিসি-র প্রতিযোগিতার বাইরে এখন ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ দেখা যায় না। একে অপরের টি-টোয়েন্টি লিগেও খেলেন না কোনও দেশের ক্রিকেটার। সেই জায়গায় কোহলী এবং বাবরের মতো দুই বিশ্বসেরা ব্যাটারকে একসঙ্গে খেলতে দেখা গেলে তা যে অভাবনীয় ব্যাপার হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।