1/7টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৭টি ম্যাচ বাকি রয়েছে ভারতের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টন টেস্ট ছাড়া তারা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২টি টেস্ট খেলবে। ৭টি টেস্টই জিতলে ভারতের সংগৃহীত পয়েন্টের গড় দাঁড়াবে ৭৪.৫৩। ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়ে অজিদের পয়েন্টের গড় কমবে এবং সেক্ষত্রে ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেবে। তবে কোনও ১টি টেস্ট হারলে ভারতের পয়েন্টের গড় দাঁড়াবে ৬৮.৯৮। ২টি টেস্ট হারলে রোহিতদের পয়েন্টে গড় দাঁড়াবে ৬৩.৪২। সুতরাং সেক্ষেত্রে ভারতের কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেকারণেই এজবাস্টন টেস্টে জয় তুলে নেওয়া টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে জরুরি।
2/7অস্ট্রেলিয়ার বাকি রয়েছে ১১টি টেস্ট। যদিও ১টি টেস্ট চলছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কায় ২টি, ভারতে ৪টি এবং ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২টি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে ৫টির মধ্যে অন্তত ৪টি টেস্ট জিতলেও এশিয়ায় ২টি টেস্টে জিততে হবে অজিদের। তবেই তারা ৬৫ শতাংশে থেকে লিগ অভিযান শেষ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
3/7ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২টি টেস্ট ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাওয়ে সিরিজে মাঠে নামতে হবে। অন্তত ৬৫ শতাংশের বেশি হারে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হলে হোম সিরিজ ছাড়াও অন্তত ১টি অ্যাওয়ে সিরিজ জিততে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
4/7পাকিস্তানের সামনেও সুযোগ রয়েছে পর্যাপ্ত। তারা বাকি ৭টি টেস্টের মধ্যে ৫টি (ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২টি) খেলবে ঘরের মাঠে। ২টি অ্যাওয়ে টেস্ট খেলবে শ্রীলঙ্কায়। যদি অন্তত ৫টি টেস্টেও জেতে পাকিস্তান, তবে তাদের পয়েন্ট ৬৫ শতাংশের উপরে থেকে যাবে।
5/7শ্রীলঙ্কার কাজ কঠিন। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান ছাড়াও অ্যাওয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছতে হলে শ্রীলঙ্কাকে অন্তত ৪টি টেস্ট জিততে হবে এবং ১টি ড্র করতে হবে।
6/7ইংল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি তারা ভারতকে ঘরের মাঠে হারায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে, তাহলেও ৫০ শতাংশের উপরে গিয়েই থেমে যেতে হবে ব্রিটিশদের।
7/7গতবারের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড় থেকে। তারা খুব বেশি হলে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।