শেষ বার কোনও জোরে বোলার হিসাবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কপিল দেব। ৩৫ বছর পর ফের নতুন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কোভিডের কারণে এজবাস্টন টেস্ট থেকে রোহিত শর্মা ছিটকে যাওয়ায় অধিনায়কত্ব করবেন যশপ্রীত বুমরা। কপিল দেবের পর এই প্রথম কোনও জোরে বোলারকে ভারতের নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে। ১ জুলাই এজবাস্টনে স্টোকসের সঙ্গে বুমরাকেই সম্ভবত টস করতে নামতে দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, কপিলের অধীনে সীমিত ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তার পর থেকে কোনও জোরে বোলারের নেতৃত্ব দিতে লেগে গেল ৩৫ বছর। রোহিত খেলতে না পারলে যাঁর অধিনায়কত্ব করার কথা ছিল, সেই কেএল রাহুল চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন। ফলে বুমরাকেই পঞ্চম টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে দেখা যেতে চলেছে। মাঝে জল্পনা উঠেছিল অধিনায়কের আসনে ফের বিরাট কোহলীকে দেখা যাবে কি না। তবে কোহলী সম্ভবত দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।
১৯৩২ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করে ভারত। তার পর থেকে ৩৫ জন অধিনায়ক হয়েছেন। ৩৬তম অধিনায়ক হতে চলেছেন বুমরা। নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বুমরাকে ভবিষ্যতের নেতা হিসাবে তৈরি করার কাজ চলছে। ভারত কেন, পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোনও দেশেই জোরে বোলারকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় না। এখনকার সময়ে এক মাত্র অস্ট্রেলিয়া দলে এক জন জোরে বোলার (প্যাট কামিন্স) অধিনায়ক হিসাবে রয়েছে। পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমরান খানের মতো কিংবদন্তি। পরে ওয়াসিম আক্রম এবং ওয়াকার ইউনিসরাও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গত বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুমরা। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে তিনি রাজি। বুমরা বলেছিলেন, “সুযোগ পেলে আমি সম্মানিত বোধ করব। মনে হয় না কেউই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে। এর থেকে বড় অনুভূতি আর হয় না। তবে নেতৃত্বের পিছনে দৌড়তে চাই না। সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। সেই সুযোগ এলে দু’হাত বাড়িয়ে গ্রহণ করব।” ঘটনাচক্রে, বুমরার সামনে সেই সুযোগ খুব তাড়াতাড়ি চলে এল।