প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম ভারত-ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

শিবভক্ত ঋষি কশ্যপের দেশ কাশ্মীর প্রথমে এক স্বাধীন রাজ্য ছিল। রাজা অমর সিংহের ছেলে হরি সিংহ হলেন শেষ রাজা (১৯২৫-১৯৪৯)। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় হরি সিংহ চেয়েছিলেন কাশ্মীর পাকিস্তান আর ভারতের মাঝে এক ‘বাফার স্টেট’ হয়ে ইউরোপের ভূস্বর্গ সুইজারল্যান্ডের মতোই স্বমহিমায় এক স্বাধীন রাজ্য হিসাবে গণ্য হোক। কিন্তু তিনি জানতেন না যে গত ১৪০০ বছরের মুসলমান আক্রমণে কাশ্মীরের বেশিরভাগ অঞ্চলই মুসলমান অধ্যুষিত হয়ে পড়েছে। আর শেখ আবদুল্লা তাদের জনপ্রিয় নেতা বেশ ভালোই পশার জমিয়ে ফেলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মুসলমানরা তাদের চিরাচরিত মানসিকতায় হিন্দু রাজা হরি সিংহকে অস্বীকার করেছিল। অন্যদিকে জম্মুর ডোগরারা শুধু রাজা হরি সিংহকে তাদের অধিনায়ক হিসাবে মেনে নিয়েছিল। কাশ্মীরি ব্রাহ্মণরা অসহায় ছিল, কারণ তারা বাস করতো সংখ্যাগুর মুসলমানদের মধ্যে। তাই তাদেরকে শেখ আবদুল্লাকেই বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। একই সময়ে পাকিস্তান নামে এক ইসলামিক দেশের জন্ম হয় ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করে। হরি সিংহ তাঁর প্রধানমন্ত্রী দেওয়ানজীর পরিবর্তে বিশ্বাসঘাতক শেখ আবদুল্লাকেই প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যখন পাকিস্তানি সেনারা পার্বত্য উপজাতি ‘কাওয়ালিয়া’র ছদ্মবেশেষ শ্রীনগর প্রায় দখল করে নিচ্ছিল, তখন ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাক্সেসন’-এর মাধ্যমে মাউন্টব্যাটনের মধ্যস্থতায় ভারতের মধ্যে বিলীন হতে সম্মত হন। উপায়ান্তর না দেখে তাকে শেখ আবদুল্লার দাবিদাওয়াও মেনে নিতে হয়। এটা ছিল এক অসহায় হিন্দু রাজার ধূর্ত, নৃশংস ও কুটিল মুসলমানের সঙ্গে এক আপোশচুক্তি। সেই সময় স্বাধীন ভারতে ছিল জওহরলাল নেহরু আর গান্ধীজীর একচেটিয়া অধিকার। শেখ আবদুল্লার দাবিতে কাশ্মীরের জন্য বিশেষ ক্ষমতা বা অধিকারের ব্যবস্থা করে, ১৯৫৪ সালের ১৪ মে রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের অনুমতিতে সংবিধানে ৩৭০ ধারা আর পরে অনুচ্ছেদ ৩৫এ লাগু হয়। সেই শর্তে স্থায়ী আর অস্থায়ী বাসিন্দাদের সুযোগসুবিধার কথা ছিল। স্থায়ীরা ভোটের অধিকার, সংরক্ষণ, সরকারি অনুদান, চাকরি, স্বাস্থ্য আরও নানা প্রকার অর্থনৈতিক সুযোগ পাবে। অস্থায়ীরা তা থেকে বঞ্চিত হবে। এছাড়া কাশ্মীরের জন্য হবে আলাদা পতাকা, সংবিধান এবং প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বীরসন্তান শ্যামাপ্রসাদ শেখ আবদুল্লার ‘থ্রি নেশন থিয়োরি এবং ভারতের বলকানাইজেশনের’ চালাকি ধরতে পেরেই ঘোষণা করেছিলেন ‘এক বিধান, এক নিশান, এক প্রধান’– এই নীতি গ্রহণ করতে হবে। কাশ্মীর দেশের অভিন্ন অঙ্গ হয়েও ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। শ্যামাপ্রসাদের দৃপ্ত বিরোধিতার জন্য নেহরু এবং শেখ আবদুল্লার ষড়যন্ত্রে ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন মাত্র ৫১ বছর বয়সে শ্রীনগরের জেলে মধ্যরাত্রে রহস্যজনক মৃত্যু হয় ভারতমাতার এই বীর সৈনিকের।
পাকিস্তানের কুখ্যাত আই এস আই, হুরিয়ত কনফারেন্স, মুফতি মহম্মদের পিডিপি ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে, গত ৭২ বছর ধরে সমস্ত ভারতবাসীকে শুনিয়ে এসেছে যে, ধারা ৩৭০ ধারাকে কোনোরকমেই খারিজ করা যাবে না। করলেই কাশ্মীরে ১৯৪৭ সালের পুনরাবৃত্তি হবে। কিন্তু এই ধারাটি যে সাময়িক এবং রাষ্ট্রপতির আদেশে যে একে খারিজ করা যায়, সেটিকে সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বারবার কিসের স্বার্থে আর কার স্বার্থে? সাধারণ মানুষ বেমালুম ভুলে গেছিল এই শর্তের কথা। গত ৭২ বছরে কেউ সাহস করে এই কথার উত্থাপন পর্যন্ত করেনি। আর করবেই বা কি করে, কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার আর রাজ্যে কমিউনিস্ট সরকার তারা আসলে হিন্দুদের শোষণ আর মুসলমানদের তোষণ করে তাদের দোকানদারি চালাচ্ছিল। কাশ্মীরের লোকসংখ্যা কম অথচ লোকসভার সিট আয়তন ও লোকসংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও জম্মু-লাদাখের চেয়ে বেশি থাকবে। কাশ্মীরের ১৮টি জেলার মধ্যে মাত্র ৫টিতে (শ্রীনগর, বারামুলা, পুলবামা, কুলগাঁও, অনন্তনাগ) আছে ১৫ শতাংশ পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সুন্নী মুসলমানরা। এরা চায় কাশ্মীরকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করতে। কাশ্মীর আজ হিন্দুশূন্য। জম্মুতে আছে ৬০ শতাংশ হিন্দু আর লাদাখে ৭০ শতাংশ বৌদ্ধ।
৩৭০ ধারার বলে অকাশ্মীরিদের কোনো সংরক্ষণ থাকবে না। কাশ্মীরি মুসলমানরা সারা ভারতে জমিজায়গা কিনতে পারবে, ব্যাবসাবাণিজ্য, বিয়ে-সাদি করতে পারবে কিন্তু সারা ভারতের কেউ সেই একই কাজ কাশ্মীরে করতে পারবে না। এই বিশেষ ক্ষমতার বলে জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ ভারতের মূলভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিল। ১৫ শতাংশ কাশ্মীরি সুন্নী মুসলমান ছাড়া কাশ্মীর, লাদাখ আর জম্মুর সব নাগরিকরাই কিন্তু ভারতের পক্ষে। তাহলে কেন এই অশান্তি ? কারণ হলো ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আর তার পুত্র ওমর আবদুল্লা। ওমরের মা একজন ব্রিটিশ নার্স আর ওমরের প্রথম স্ত্রী পায়েল নাথ একজন কাশ্মীরি হিন্দু। এই দুই পরিবার — মুফতি আর আবদুল্লাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে আর গরিব ৫০০ টাকার পাথরবাজরা নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে লড়াই করে তাদের মনিবদের ‘খুশ’ করছে।৩৭০ ধারা যে ‘কাগুজে বাঘ’ছিল সেটা অমিত শাহ,নরেন্দ্র মোদী, অজিত দোভাল আর এই মর্মান্তিক নাটকের কুশীলব বীর জওয়ানরা ভালোভাবেই প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন সমগ্র বিশ্বকে। পাকিস্তানের শত বিরোধিতা সত্ত্বেও সংযুক্ত রাষ্ট্রসঙ্ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে। মোদীর এই ৩৭০ ধারা রদকে। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া এমনকী পাকিস্তানের দোস্ত চীন এবং ইসলামিক দেশগুলিও পাকিস্তানের জেহাদি আহ্বানে নীরব থাকাকে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেছে। পাকিস্তান প্রথম থেকেই কাশ্মীরে বিচিছন্নতাবাদী নেতা জিলানি, ফারুক আবদুল্লা, মুফতি মহম্মদ সাইদ এবং আরও বেশ কিছু নেতাকে কাশ্মীরে হাঙ্গামা করিয়ে, আন্তর্জাতিক ইসু বানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিয়ে গেছে, কিন্তু বারবার নিশ্চপ থেকে ৫ লাখেরও বেশি কাশ্মীরি হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং বিতাড়নের বিষয়ে। মুষ্টিমেয় লোক যারা অল্প কয়েকটি স্বার্থান্বেষী পরিবারের অন্তর্গত তারাই জঙ্গিপনাকে আর পাথরবাজদের তৈরি করেছিল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির সোহর তারই কাকা জাভেদ ইকবাল, পাকিস্তানি পার্লামেন্টের এক স্থায়ী সদস্য ছিলেন। তার এক মেয়ে ইরতিকা পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে, বর্তমানে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত। আর এক মেয়ে ইলতিজা, মামা মুফতি তাসাদুকের সঙ্গে মুম্বাইয়ের বলিউডে কর্মরতা। ১৯৮৯ সালে মেহবুবার আর এক বোন রুবাইয়া মুফতিকে অপহরণের মিথ্যা নাটকের ষড়যন্ত্র করে পাঁচনৃশংস জঙ্গিকে কাশ্মীরের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সাইদের আদেশে। আর সেই বছরেই শুরু হয়ে যায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিধন যজ্ঞ ন্যাশনাল কনফারেন্স আর কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রে।
ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে সহজেই ভ্রমণবিলাসীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে স্থানীয় লোকদের উপার্জনের ভালো উপায় করা যায়। লাদাখের বিস্তীর্ণ ভূভাগে (প্রায় ৬০,০০ বর্গকিলোমিটার) সৌরশক্তির উৎপাদনের উপযোগী করা যায়। কিন্তু ওই সব ভ্রষ্ট নেতারা চায় ভারতের কাছ থেকে শুধু টাকা যার দ্বারা তারা কাশ্মীরকে। ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ করতে। এতদিন তাই চলছিল নির্বিবাদে।
কেন কাশ্মীর অন্য প্রদেশের তুলনায় এত গরিব, যদিও অন্য প্রদেশের তুলনায় অনেক বেশি অনুদান পেয়ে থাকে। কাশ্মীরে আপনি জমি কিনতে পারবেন না, ব্যবসা চালাতে পারবেন না। কাশ্মীরের মোট রাজস্বের ৭৫ শতাংশ আসে কেন্দ্র থেকে। আর সেটা আমার আপনার ট্যাক্সের টাকায় সম্ভব হয়। কংগ্রেসের আমলে মাত্র ১৫ বছরে কাশ্মীর পেয়েছিল ২ লক্ষ ৭৭ হাজার কোটি টাকা অনুদান। কোনো উন্নয়ন তো হয়নি! প্রত্যন্ত গ্রামে ছিল না বিদ্যুৎ বা জলের ব্যবস্থা। কী হলো এত টাকা? সব খেয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী শাহ-জিলানিরা আর শ্যামাপ্রসাদের হত্যাকারী ফারুক আর ওমর আবদুল্লার পরিবারের মতো গুটিকয় পাকিস্তানপন্থী মুসলমান নেতারা। তাদের অনেকেই যেমন জঙ্গি জইস-ই-মহম্মদের সালাউদ্দিন আর লস্কর-ই- তৈইবার মাসুদ আজহার এখন পাকিস্তানের স্থায়ী বাসিন্দা। তাদের আত্মীয়স্বজনরা সব কংগ্রেসের দয়ায় ভারতের বিভিন্ন সরকারি বিভাগে উচ্চপদে কর্মরত।বিচার বিভাগ, সুরক্ষাবিষয়ক বিভাগ, ব্যাঙ্ক, শিক্ষা পরিষদে আসীন। স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নিযুক্তিই বলে দেয় নেহরুর গুপ্ত উদ্দেশ্যটা কী ছিল! তিনি আরবি-ফার্সি ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না। হিন্দু সংস্কৃতির ব্যাপারে অজ্ঞ, তবুও ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত স্বাধীন ভারতের নাগরিকদের পেতে হলো এমন একজন শিক্ষামন্ত্রী যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ব্যাপারে ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন ও অজ্ঞ। আর সেই কংগ্রেসকে ভারতবাসী গত ৭২ বছর ধরে ভোট দিয়ে এসেছি। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিচ্ছি। ২০১১-২০১২ সালে ভারত সরকার প্রতিটি ভারতবাসীর জন্য মাথাপিছু খরচ করেছিল ৩৬৮৩ টাকা আর কাশ্মীরিদের জন্য সেই পরিমাণ ছিল ১৪২৫৫ টাকা। গত বছর মোদী সরকার ২০১৭-২০১৮ সালে প্রতিটি ভারতবাসীর উন্নয়নের জন্য যখন ৮২২৭ টাকা বরাদ্দ করেছে সেখানে কাশ্মীরিদের জন্য ২৭৩৫৮ টাকা। অর্থাৎ কাশ্মীরের বিচ্ছন্নতাবাদী, অকৃতজ্ঞ, বিশ্বাসঘাতক, পাথর-ছোঁড়া মুসলমানদের জন্য আমাকে আপনাকে অনেক টাকা দিতে হয়েছে যাতে করে তারা ফ্রিতে চাল-ডাল-আটা-তেল পেয়েছে। ৩৭০ ধারার আওতায় সবরকম সুযোগসুবিধা নিয়েছে আর দেশবিরোধী কার্যক্রম চালিয়েছে। ভারতের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ খরচ হয় এই কাশ্মীরেই যেখানে দেখা যাচ্ছে তারা সমগ্র ভারতের নাগরিকদের তুলনায় ১ শতাংশেরও নীচে আছে। আর উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা ১৩.৫ শতাংশ কিন্তু জিডিপি মাত্র ৮.২ শতাংশ। আর এই জনবহুল প্রদেশ ভারতের অর্থনীতিতে যেরকম সহায়ক যোগদান করে তার ১ শতাংশ কাশ্মীর করে না। আর এই ‘শ্বেতহস্তী পোষা’র মতো ৩৭০ ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে মোদী সরকারের বিপক্ষে কারা কাজ করে চলেছে গোলাম নবি আজাদ, মমতা ব্যানার্জি, সীতারাম ইয়েচুরি, ড্যানিয়েল রাজা নামক বিষধর সাপেরা। ভারত সরকারের সমস্ত টাকা খরচ হয় জঙ্গিবাদের প্রচার প্রসারে। পাকিস্তানের মদত আছে সত্যি কিন্তু টাকা আসে বাকি ভারতবাসীর করের টাকা থেকে। পশ্চিমবঙ্গে মুয়াজ্জিনদের মাসিক বেতন কোথা থেকে আসে? আজ এখানে শ্যামাপ্রসাদের জন্যই বেঁচে আছেন হিন্দু হয়ে ! আজ সেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম আর এখন। তৃণমূলের প্রশ্রয়ে মুসলমানরা কীভাবে হিন্দুদের উপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
কাশ্মীরে ক্যাগের মতো দুর্নীতি দমনকারী সংস্থার কাজ করার অধিকার ছিল না। কাশ্মীরে ভারতের আইন অচল ছিল। এতদিন আলাদা পতাকা, সংবিধান আর আলাদা প্রধান ছিল। সেখানে মুফতি আর আবদুল্লা পরিবারের একমাত্র অধিকার, যেন তাদের বাপুতি সম্পত্তি ছিল। কংগ্রেস-কমিউনিস্ট -সহ সমস্ত বিরোধীদল আবার সেই অন্যায়কেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের অনুদানের পয়সায় তারা জঙ্গিবাদকে জিইয়ে রেখে ভারতকে ব্ল্যাকমেল করে, ভয় দেখিয়ে নিজেদের পকেট ভরেছিল এতদিন। তাই মোদী-অমিত শাহর এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ভারতের অভিন্ন অংশ জম্মু- লাদাখ-সহ কাশ্মীর ভারতমাতার মুকুটের মতো চিরদিন শোভাবর্ধন করতে থাকুক ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা।
ডাঃ রবীন্দ্রনাথ দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.