রাজনৈতিক দড়ি টানাটানিতে ঝুলে গেল রাজ্যের আরও একটি তৈরি প্রকল্পের উদ্বোধন। কামারকুণ্ডু উড়ালপুলের পর এবার অনিশ্চয়তা শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন নিয়ে। ঘটনাচক্রে ২টি প্রকল্পই রেল মন্ত্রকের অধীনে। যার ফলে, জনগণের টাকা খরচ করে তৈরি হয়ে যাওয়া প্রকল্পের সুবিধা পেতে জনগণকে কেন অপেক্ষা করতে হবে সেই প্রশ্ন উঠছে।
রাজ্য – রেল দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর চলতি মাসে উদ্বোধন হয়েছে কামারকুণ্ডু রেল উড়ালপুলের। তৈরি হওয়ার পরে প্রায় ৬ মাস পড়ে ছিল উড়ালপুলটি। রেলের দাবি, রাজ্যকে যৌথ উদ্বোধনের জন্য একাধিক চিঠি দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার শিয়ালদা মেট্রোর উদ্বোধনে অন্তত সেই যুক্তি দিতে পারবে না রেল।
রেলের কোনও নতুন পরিকাঠামোয় যাত্রী পরিষেবা শুরু করতে গেলে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। গত মার্চে নবনির্মিত শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। এর পর কয়েকটি ছোটখাটো রদবদলের পরামর্শ দিয়ে গত ২৩ মার্চ ছাড়পত্র দেন। রেলের নিয়ম অনুসারে ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদ ৩ মাস। অর্থাৎ এই ছাড়পত্র পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে ওই অংশে পরিষেবা শুরু করতে হবে। ফলে ২৩ জুনের মধ্যে পরিষেবা শুরু না করলে ফের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমতি নিতে হবে। আর ২৩ জুনের মধ্যে পরিষেবা শুরুর কোনও সম্ভাবনা নেই।
মেট্রো সূত্রে খবর, শিয়ালদা স্টেশনের উদ্বোধন কাকে দিয়ে করানো হবে তাই এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কখনও শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম, কখনও শোনা যাচ্ছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের নাম। এর মধ্যে একাধিকবার শিয়ালদা মেট্রোর উদ্বোধন হবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। প্রথমে শোনা যায় ১১ এপ্রিল শিয়ালদা থেকে শুরু হবে পরিষেবা। পরে ৩১ মে উদ্বোধন হবে বলে শোনা যায়।
শিয়ালদা মেট্রোর উদ্বোধন হলে কর্মসূত্রে যারা বিধাননগর সেক্টর ফাইভে যান তাদের বিশেষ সুবিধা হবে। বর্তমানে উত্তর শহরতলি হোক বা দক্ষিণ, সেক্টর ফাইভে পৌঁছতে ভরসা বাস। হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ পৌঁছতে নাভিশ্বাস ওঠে। খরচও হয় কয়েকগুণ। মেট্রো চালু হলে শিয়ালদা থেকে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভে। বাঁচবে অর্থ ও সময়।