১২ দিনের মাথায় রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৪০০-র গণ্ডি পার করল। রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ৪০৬ জন। এর আগে রবিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিনশোর গণ্ডি টপকে ছিল। সোমবার তা আড়াইশোর নীচে নামে। তবে মঙ্গলবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। করোনা দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে এক জন কোভিড রোগীর। বর্তমানে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩২৯।
বিগত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। মাস তিনেক পর গত ১০ জুন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত একশো ছাড়িয়েছিল। তার পর থেকে তা ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে মঙ্গলার এই সংখ্যা পৌঁছল ৪০৬-এ। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২২ হাজার ৫৪৭ জন। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। সোমবার কলকাতায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১৫ জন। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯১।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু ২১ হাজার ২১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৮ হাজার ৫৬১ জনের।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)