শেষ পর্যন্ত সিবিআই লুটের মামলায় বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের আগে চিদাম্বরম একজন দুর্দান্ত অপরাধীর মতো কাজ করেন। প্রথমে তো চিদাম্বরম তার বাড়ির গার্ডকে ডেকে বাড়ি তালাবদ্ধ করে। এরপর CBI টিম তার বাড়ির দেওয়াল ভেদ করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তখন চিদাম্বরম নিজেকে বাথরুমে লক করে নেয়। কিন্তু বাথরুম থেকে বেরোতেই CBI চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে। মজাদার বিষয় এই যে, চিদাম্বরমকে সেই দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয় যে দপ্তর আজ থেকে ৮ বছর আগে উনি উদ্বোধন করেছিলেন।
এখন চিদাম্বরম CBI এর হেফাজতে রয়েছে। CBI লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে এবং লুটপাটের মামলা সমস্ত অপরাধীদের বের করে আনার চেষ্টা করবে। CBI অনেকে আগেই চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু আদালত থেকে বার বার আগাম জামিন পেয়ে যেতেন চিদাম্বরম। এখন অবশেষে চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুরো কংগ্রেস দল বিস্মিত হয়েছে। চিদাম্বরমকে জামিন পাওয়ানোর জন্য কপিল সিবাল, সালমান খুরশিদ তাদের উকিল শক্তি প্রয়োগ করেছিল। ২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে সোনিয়া গান্ধী তার পুরোপুরি শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। অভিষেক মনু সিংভির মতো কংগ্রেসের আইনজীবীরা দিনভর লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু শেষমেষ আদালত জামিন দিতে অস্বীকার করে।
আসলে চিদাম্বরম হলেন সোনিয়া গান্ধীর ডান হাত। UPA সরকারের সময়তেও উনি সোনিয়া গান্ধীর ডান হাত ছিলেন। তাই চিদাম্বরম দোষী প্রমাণিত হলে আরো বড়ো বড়ো মাছ CBI এর জালে ফেঁসে যেতে পারে। চিদাম্বরম এ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, পাশাপাশি দীর্ঘদিন সোনিয়া গান্ধীর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। চিদাম্বরমের মতো অনেক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে লুটের অভিযোগে মামলা চলছে। সোনিয়া গান্ধীও জামিনে আছেন, রাহুল গান্ধীও জামিনে রয়েছেন। রবার্ট ভাদ্রাও জামিনে আছেন, এবং চিদাম্বরম তাঁর পুরো রাশিফল জানেন।
সবার সমস্ত দুঃসাহসিক কাজ চিদাম্বরম জানেন। কারণ তিনি নিজে এই দেশের অর্থমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন। এখন যেহেতু চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাই বলা হচ্ছে, সোনিয়া, রাহুল গান্ধী এবং রবার্ট ভদ্রার সম্পর্কিত অনেক ধরণের সত্য উদ্ঘাটন হতে পারে। চিদাম্বরম এখনই মুখ খুলতেই অনেক রহস্য জানা যাবে। আর এ কারণেই কংগ্রেস পার্টি খুব দুশ্চিন্তায় আছে বলে অনেকের ধারণা। কংগ্রেসের নেতারা লাগাতার চিদাম্বরমের গ্রেফতার নিয়ে মুখ খুলতে আরম্ভ করেছেন।
বাংলা.ইন্ডিয়ারাগ.কম