ভবিষ্যতে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রযুক্তির উপরে ভর করেই এগোতে হবে, এমনটাই জানালেন ভারতীয় সেনা বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। অগ্নিপথে কেন তরুণদের নিয়োগেই জোর দেওয়া হচ্ছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বললেন, ‘‘প্রযুক্তির ব্যাপারে তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি সড়গড়। সে কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সি তরুণদের চার বছরের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে বাহিনীতে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই রবিবার এই সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী— পদাতিক, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার শীর্ষকর্তারা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী, এয়ার মার্শাল এসকে ঝা। অনিল বলেন, ‘‘আমরা বাহিনীতে তারুণ্য চেয়েছিলাম। সেনাবাহিনীতে ‘যোশ’ আর ‘হোশ’ (অর্থাৎ জেদ আর সচেতনতার)-এর যৌথ প্রকাশ চেয়েছিলাম। তাই সব দিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
রবিবারই অগ্নিপথ প্রকল্পকে দেশের তরুণদের হত্যার পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা-সহ নেতারা। এর মধ্যেই রবিবার সাউথ ব্লকে সেনামন্ত্রকের দফতরেই সাংবাদিক বৈঠক ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগ প্রকল্পে তরুণদের নিয়োগের কারণ ব্যাখ্যা করলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। অনিল জানান, আপাতত সেনাবাহিনীতে ৪৬ হাজার ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’দের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ২৫ হাজার হবে। এক জন ‘অগ্নিবীর’ দেশের জন্য শহিদ হলে তাঁর পরিবার কেন্দ্রের তরফে এক কোটি টাকা পাবে এককালীন সাহায্য হিসেবে।