বেশি ভাড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে সেই অটোকে তাড়া করেছিলেন মুম্বইয়ের চেতন আচিরনেকর। পালাতে গিয়ে তাঁর উপরই উল্টে যায় অটোটি। মৃত্যু হয় চেতনের। সেই মামলায় চেতনের পরিবারকে ৪৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের পথ দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল।
অটোভাড়া নিয়ে চালকের সঙ্গে অল্পবিস্তর বচসায় জড়াননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষত, একটু রাত হলেই, ‘ফাঁকা ফিরতে হবে’, এই লব্জ শুনে শুনে কান পচে যাওয়ার জোগাড়। অনেক সময়ই ভাড়া নিয়ে হাতাহাতিও হয়েছে। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬-এর ২৩ জুলাই গভীর রাতে। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ভিখরোলি ইস্টের বাড়িতে ফিরছিলেন ২৬ বছরের চেতন। বাড়িতে নামার পর অটোর ভাড়া হয় ১৭২ টাকা। তিনি দু’শো টাকা এগিয়ে দেন চালককে। কিন্তু খুচরো ২৮ টাকা ফেরত দেওয়ার বদলে তর্ক শুরু করেন চালক। বলেন, এত রাতে বাড়তি দিতেই হবে। কিন্তু তাতে রাজি নন চেতন। এমন সময় সুযোগ বুঝে অটো নিয়ে চম্পট দেন চালক। অটোকে ধাওয়া করেন চেতন। অসাবধানতায় দ্রুত গতিতে ছোটা অটোটি উল্টে পড়ে চেতনের উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় চেতনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা করে চেতনের পরিবার।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, চেতনের মৃত্যু শংসাপত্র এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তাঁর মৃত্যু হয়েছিল দুর্ঘটনার জেরে পাওয়া আঘাতের জেরেই। চালকের অনিয়ন্ত্রিত এবং বেপরোয়া অটো চালনার কারণেই মৃত্যু। তাই চালক দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। তার পরই ট্রাইব্যুনাল চেতনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭.৫ শতাংশ সুদ-সহ ৪৩ লক্ষ টাকা দিতে নির্দেশ দেয়।