‘অগ্নিবীর’-দের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নয়। উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই ‘অগ্নিপথ’ মডেল চালু করা হয়েছে। দেশের একাংশে হিংসাত্মক বিক্ষোভের মধ্যে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, সামরিক বাহিনীতে চার বছরের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ‘অগ্নিবীর’-দের সামনে কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ থাকবে। অন্যান্য চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। নিজের ব্যবসা বা সংস্থা খোলার সুযোগ পাবেন। উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবেন। সঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অগ্নিপথ’ মডেল চালু করার আগে দু’বছর ধরে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে চালানো হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা।
চলতি সপ্তাহে ‘অগ্নিপথ’ মডেলের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই মডেলের আওতায় চার বছরের জন্য দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে। চার বছরের চাকরির শেষে ৭৫ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’-দের অব্যাহতি দেওয়া হবে। সেইসময় তাঁরা মোটা অঙ্কের প্যাকেজ পাবেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ‘অগ্নিবীর’-দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
যদিও সামরিক বাহিনীতে চাকরির জন্য যাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের দাবি, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যে আগুন জ্বলেছে। লাগামছাড়া হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিহার। ছাপরা, ভাভুয়া রোডের মতো স্টেশনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন।