উলুবেড়িয়ায় হাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হল এক বিচারাধীন বিজেপি কর্মীর। বিজেপি কর্মীর এই মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উলুবেড়িয়ায়। জানা গিয়েছে মৃতের নাম শ্রীকান্ত রায়। তিনি উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগারে ছিলেন। শ্রীকান্ত বাউড়িয়া থানার পশ্চিম বুড়িখালি এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে পয়গম্বর বিতর্কে হিংসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহে পয়গম্বর বিতর্কের জেরে জ্বলতে শুরু করেছিল হাওড়া। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর… অনেক কিছুই হয়েছিল। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ১১ জুন বাউড়িয়া থানার পুলিশ শ্রীকান্ত রায়কে গ্রেফতার করেছিল। এরপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার জেলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে শ্রীকান্তের পরিবারের দাবি, তিনি নির্দোষ। ১১ জুন তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আচমকা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ আমচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীকান্ত। এরপর উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীকান্তকে। সেখানেই বেলা ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এই আবহে মৃত শ্রীকান্তের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন শ্রীকান্তের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল পুলিশ। এর জেরেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীকান্তের। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় নিহতের পরিবার। সেনার কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিও তোলেন নিহতের স্ত্রী। স্ত্রী অনিমা দাসের অভিযোগ, গত ১৩ জুন তিনি যখন শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা করতে জেলে গিয়েছিলেন, তখনই স্বামী তাঁকে পুলিশি অত্যাচারের কথা বলেন। এমনকী তাঁরা যখন হাসপাতালে শ্রীকান্তের দেহ শনাক্ত করতে যান, তখনও তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিযেছে বলে অভিযোগ।