সেনায় ‘অগ্নিপথ’ মডেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে তুঙ্গে প্রতিবাদের ঝড়। দেশের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি বিহারের বহু জায়গায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবাদীরা। মূলত দু’টি বিষয় নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ। সেনায় নিয়োগের পরীক্ষায় রেজাল্ট বের হতে দেরি হওয়া এবং দ্বিতীয়ত অগ্নিপথ মডেলের আওতায় সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জন্য গত ২ বছর ধরে পরীক্ষার্থীরা সেনায় নিয়োগের প্রক্রিয়ার অপেক্ষা করছিলেন। এদিকে, গত ২ বছর ধরে সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে ছিল। এরপরই গত ১৪ জুন কেন্দ্রের তরফে অগ্নিপথ মডেলে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। যে মডেলের বিরোধিতায় নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ক্ষোভের জেরে ট্রাফিকের পাশাপাসি বিহারের বিভিন্ন জায়গায় রেল চলাচল ব্যাহত হয়। বক্সার, বেগুসরাই, ভোজপুর, মুজাফ্ফরপুরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাটনাগামী পাটুলীপুত্র এক্সপ্রেসে এদিন ঢিল ছোঁড়া হয়েছে। মুজাফ্ফরপুরে বিক্ষোভের জেরে বহু ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
জানা গিয়েছে প্রতিবাদীদের অনেকেই চাকরি প্রার্থী। তাঁরা গত ২ বছর আগে নিয়োগের জন্য মেডিক্যাল টেস্ট দিয়েছিলেন। তবে লিখিত পরীক্ষা ছিল বাকি। এবার সেই পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ নিয়েও কর্তৃপক্ষ কিছু জানাচ্ছে না বলে দাবি সেনায় যোগ দিতে আগ্রহীরা। ‘ভর্তি দো ইয়া অর্থি দো’ (হয় ভর্তি করো নয় মৃত্যু) এমন স্লোগান দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রতিবাদীরা। এর আগে বিহারের ১৩ টি জোনাল রিক্রুটমেন্ট অফিস থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলত। প্রসঙ্গত ২০১১ আদমসুমারী অনুযায়ী সেনায় ১০ শতাংশ কোটা ছিল বিহার ও ঝাড়খণ্ডের প্রার্থীদের। অন্যদিকে সেনায় অগ্নিপথ স্কিমের আওতায় প্রথম কয়েক বছর কাদের পর ২৫ শতাংশকে স্থায়ী করা হবে বাকি ৭৫ শতাংশকে অন্যান্য কাজে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।