পৃথিবীতে অনেক ধরনের আন্তঃরাষ্ট্রীয় আইন আছে। আপনি যেকোনো দেশে নিজের সেনাকে ঢোকাতে পারবেন না, নাহলে অন্য দেশ, সংযুক্ত রাষ্ট্র, সংযুক্ত রাষ্ট্র পরিষদ হস্তক্ষেপ করতে পারে। জম্মু কাশ্মীরের একটি বড় অংশ পাকিস্তানের কব্জায় আছে, এই অংশকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরও (POK) বলা হয়। এই অংশটি মূল রূপে জম্মু কাশ্মীরের অংশ, কিন্তু নেহেরুর ভুলের কারণে এই অংশটিকে পাকিস্তান কব্জা করে নিয়েছে।নেহেরুর সময় থেকে POK পাকিস্তানের কব্জায় আছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসী জিহাদিদের সেনা পাঠিয়ে pok এর উপরে কব্জা করে নিয়েছিল।
ভারতীয় সেনাকে POK কে পাকিস্তানের কব্জা থেকে ছাড়াতে পাঠানোর জায়গায় নেহেরু এই মামলাটি নিয়ে সংযুক্ত রাষ্ট্রে চলে যায় এবং সংযুক্ত রাষ্ট্রের থেকে এই মামলাটির সমাধান করার আবেদন করে। আর তারপর থেকে এই মামলার উপর কোনো কার্য করা হয়নি। এখন ভারত pok এর উপরে কব্জা করার জন্য যদি নিজের সেনাদের আরোহণ করতে পাঠায় তবে এটি ভারতের আবেদনের উল্লঙ্ঘন করা হবে। কারণ নেহেরু ভারতের পক্ষ থেকে সংযুক্ত রাষ্ট্রে আবেদন করে রেখেছে। এখন pok তে আইনি রূপে ভারতীয় সেনাদের কিভাবে ঢোকানো যাবে যাতে সংযুক্ত ভারতের আইনও ভাঙবে না আর পাকিস্তানের সাহায্যের জন্য কেউ পাশে এসেও না দাঁড়ায়।
এর প্ল্যান সুব্রামানিয়ান স্বামী বলেছেন ও এর চর্চা পাকিস্তান মিডিয়াতে দিন রাত ধরে হচ্ছে আর এই প্লানিং শুনে পাকিস্তান মিডিয়া ভয় কেঁপে উঠেছে। সুব্রামানিয়ান স্বামী ভারতীয় সেনাকে pok তে ঢোকানোর একটি প্ল্যান বানিয়েছেন। প্ল্যান অনুযায়ী, ভারতের বর্তমান সরকারকে সবার আগে সংযুক্ত রাষ্ট্রে ভারতের পক্ষ থেকে যে আবেদন নেহেরু করেছিলো সেই আবেদনকে ফেরত নিতে হবে। ভারত সংযুক্ত রাষ্ট্র থেকে আবেদন ফেরত নিয়ে নেওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরের pok এর অংশ সেরকমই খোলা অংশ হয়ে যাবে যেরকম আগে আগে ছিল।
তারপর সেই খোলা অংশ ,যেটি জম্মু কাশ্মীরেরই অংশ, সেটিকে কন্ট্রোল করার জন্য ভারত নিজের সেনাকে আইনি রূপে পাঠাতে পারবে। এই ভাবে আইনি রূপে pok তে থাকা পাকিস্তানি সেনাকে সেখান থেকে তাড়াতে হবে। সেই কাজ ভারতীয় সেনা খুব সহজেই করতে নিতে পারবে। সংযুক্ত রাষ্ট্রও তখন দখল দিতে পারবে না। এছাড়া অন্য কোনো দেশও কোনো রকমের দখল দিতে পারবে না। আর এই ভাবেই ভারতীয় সেনা একটি আইনি যুদ্ধ লড়ে pok কে আবার ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে দেবে।