আজ সোমবার সকাল সাতটা থেকে ফের হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হল। যদিও পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, ধুলাগড়, অঙ্কুরহাটি মোড় সহ একাধিক জায়গায় আগামী ১৫ জুন, বুধবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এর আগে ১০ জুন রাতেই গোটা হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও রবিবারই পুলিশ জানায়, হাওড়ার পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে। কড়া পুলিশি নজরদারিতে গতকাল হাওড়ার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখনও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে হাওড়া গ্রামীণের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
উল্লেখ্য, পয়গম্বর নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মারে গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলে হাওড়া জুরে। এর জেরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল উলুবেড়িয়ায়। এর জেরে ডোমজুড়ের সলপ মোড়, ধূলাগড় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত বাহিনী টহল দিয়েছে বাঁকড়া, ধূলাগড়, রানিহাটি, অঙ্কুরহাটি-সহ বিভিন্ন এলাকায়।
এর আগে গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে হাওড়ায় প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পয়গম্বর বিতর্কে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়। দফায় দফায় অবরোধ করা হয় রেল পথ এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই আবহে সাম্প্রদায়িক হিংসায় হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আমতা, ডোমজুড়, জগাছার মতো এলাকায় হানা দিয়ে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানো, অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তি নষ্টের মতো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাঁচলা থেকে ২২ জন, সাঁকরাইল থেকে ১৮ জন, ডোমজুড় থেকে ৫ জন, উলুবেড়িয়া থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।