তিনি উচ্চশিক্ষিত। তাই কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা উচিত। এই ধ্যানধারণা থেকে সরে আসতে হবে। কোনও মহিলা উচ্চশিক্ষিত হলেও তাঁকে চাকরি করাতে বাধ্য করা যাবে না। শুক্রবার একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ বম্বে হাই কোর্টের।
পুণের পরিবার আদালত এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। মেয়ের পড়াশোনা বাবদ আরও সাত হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছিল। তখন ওই ব্যক্তি দাবি করেন, স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত, অতএব চাকরি করে নিজের জীবন চালাতে পারবে। কিন্তু পুণের আদালত তাঁর সেই আবেদনকে খারিজ করে স্ত্রীকে খোরপোশের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
বিচারপতি ভারতী ডাংড়ের একক বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। বেঞ্চ জানায়, কোনও মহিলা কাজ করবেন নাকি বাড়িতেই থাকবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। উচ্চশিক্ষিত বা ডিগ্রিধারী হলেও তাঁকে চাকরি করার জন্য কেউ চাপ দিতে পারবেন না।
বিচারপতি ডাংড়ে বলেন, “সংসারে মহিলারা আর্থিক সহযোগিতা করুক, এই বিষয়টি এখনও আমাদের সমাজ মেনে নিতে পারে না। কোনও মহিলা কাজ করবেন কি করবেন না, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজের বিষয়। তিনি উচ্চশিক্ষিত মানেই এই নয় যে, বাড়িতে বসে থাকতে পারবেন না।” এই প্রসঙ্গে বিচারপতি আরও বলেন, “আমি আজ এই আদালতের বিচারপতি। ধরা যাক, আগামী দিন থেকে আমি যদি বাড়িতে থাকি, তখন কি আপনি বলবেন যে, আমি উচ্চশিক্ষিত, আমি বিচারপতি, তাই বাড়িতে বসে থাকা শোভা পায় না?”