নূপুর শর্মার ‘মুণ্ডচ্ছেদের’ ভিএফএক্স ভিডিয়ো বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সেই ঘটনায় কাশ্মীরের ইউটিউবার ফয়জল ওয়ানিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতারির আগে সেই ভিডিয়োোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ওয়ানি।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওয়ানিকে গ্রেফতার করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সাফা কদল থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়ানি ইউটিউবে ‘অপরাধমূলক’ ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ওয়ানি। যা সমাজে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নূপুরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন একাংশ। তারইমধ্যে নুপূরকে নিয়ে ভিএফএক্স ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন ওয়ানি। ইউটিউবে পোস্ট করা সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োয় ভিএফএক্সের মাধ্যমে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্রের মুণ্ডচ্ছেদের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, খালি গায়ে ওয়ানি হাজির হয়েছেন। তারপর একটি মন্তব্য শেষ করেই ভিএফএক্সের মাধ্যমে নূপুরের মুণ্ডচ্ছেদের দৃশ্য দেখানো হয়।
সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্কের মধ্যে ভিডিয়ো মুছে দেন ওয়ানি। সঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘ভিডিয়োয় একটি ভিএফএক্স তৈরি করেছিলাম। দ্রুত সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। হ্যাঁ, ভিডিয়োটি আমি তৈরি করেছিলাম। আমি কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। আমি ভিডিয়োটা মুছে নিয়েছি। কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
কী হয়েছিল নূপুরের ঘটনাটি?
সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই মন্তব্য নিয়ে সরব হয় পশ্চিম এশিয়ার একাধিক মহলও।
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নূপুরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নূপুর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন জিন্দল। তারইমধ্যে কাতারের তরফে ভারতীয় দূতকে তলব করা হয়। পরেই একইপথে হাঁটে কুয়েতের মতো দেশ। যদিও ভারতও স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির অবস্থান নয়।