ভর দুপুরে কলকাতার ব্যস্ততম পার্ক সার্কাস এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলিচালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশকর্মী। পুলিশকর্মীর গুলিতে নিহত ১ মহিলা। এই ঘটনায় পড়মরি করে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন পথচলতি মানুষজন। ঘটনার পর সেকথা বর্ণনা করতে গিয়ে আঁতকে উঠছেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ উপদূতাবাসে কর্মরত ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ হাইকমিশন থেকে বেরিয়ে প্রথমে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার পর রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে SLR রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন।
গুলি লাগে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি বাইক ট্যাক্সি। তার চালক ও আরোহীকে তাক করে গুলি করেন ওই পুলিশকর্মী। গুলিবিদ্ধ হন ২ জনই। গুলি লেগে মৃত্যু হয় মোটরসাইকেলটির মহিলা আরোহীর। চালক মোটরসাইকেল নিয়ে কোনওক্রমে পালান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১০ – ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন তিনি। এর পর থুতনিতে গুলি করে আত্মঘাতী হন তিনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রথমে ভেবেছিলাম মজা করছে, তার পর ভাবলাম বন্দুক পরীক্ষা করছে। কিন্তু যখন আমার দিকে বন্দুক তাক করল তখন আর মাথার ঠিক ছিল না। যে ভাবে পেরেছি পালিয়েছি। স্থানীয়দের কথায়, দেখে মনে হচ্ছিল, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন ওই পুলিশকর্মী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন লালবাজারের পদস্থ কর্তারা। দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্তব্যরত অন্য পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি কাজে যোগদান করেছিলেন ওই পুলিশকর্মী। ফলে তাঁর ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য নেই কারও কাছে।