নিজের স্কুলে চেনা পরিবেশে পরীক্ষা দিয়েই কি ভাল ফল করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা? মেধা তালিকায় প্রথম দশে ২৭২ জন ছাত্র-ছাত্রীর নাম কী করে এল, তা জানতে চাওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তা-ই বললেন। তাঁর মতে চেনা পরিবেশে, হালকা মেজাজে পরীক্ষা দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ‘বড় পরীক্ষা’র চাপ তাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলস্তরের কোনও ‘বড় পরীক্ষা’ বা বোর্ডের পরীক্ষায় এত পড়ুয়া প্রথম দশে জায়গা পাননি। আবার এর আগে কখনও উচ্চ মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র ‘হোম সেন্টার’ অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের নিজের স্কুলেও পড়েনি। সংসদ কর্তা চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ইতিহাসে দু’টি ঘটনাই প্রথম হল। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এ বছর অতিমারির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার্থীদের হোম সেন্টারে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলেও আগামী বছর থেকে আর সেই সুযোগ থাকবে না। পরের বছর পুরনো নিয়মে অন্য স্কুল বা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রেই পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের।
অতিমারি পরিস্থিতিতে দু’বছর কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কারণ, ২০২১ সালে পরীক্ষা হয়নি। ২০২০ সালেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায় মাঝ পথে। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা শেষ বার প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে বছর ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রথম দশে। তার আগে ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ছিল ৮০ জন পরীক্ষার্থীর নাম। ২০২২ সালে প্রথম দশে থাকা কৃতীদের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সংসদ কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, হোম সেন্টারে পরীক্ষার পাশাপাশি এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও অনেক সহজ ছিল। অনেক বেশি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। ফলে সেটাও ভাল ফলের কারণ হতে পারে।