ঘৃণা ভাষনে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করছে দিল্লি পুলিশ। এই তালিকায় বিভিন্ন দলের একাধিক মুখপাত্র এবং সাংবাদিক, লেখক, নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট, এনজিও কর্মী প্রমুখের নাম রয়েছে।
ওই ব্যক্তিরা যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানকার থানায় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হচ্ছে।
পুলিশ কি এঁদের গ্রেফতার করবে? দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের বক্তব্য, যেহেতু এই ব্যক্তিদের কোনও বক্তব্যের ফলে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি, তাই গ্রেফতারের প্রশ্ন ওঠে না। তবে পুলিশ এঁদের সতর্ক করে দিতে চায়। যাতে ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
নুপুর শর্মার মন্তব্যের জেরেই এই বিতর্কের সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শাদাব চৌহান, সাবা নাকভি, মৌলানা মুফতি নাদিম, অবদুল রহমান, গুলজার আনসারি, অনিল কুমার মীণা, পুজা শকুন পান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের মতে, এঁরা প্রত্যেকেই ঘৃণার বার্তা প্রচার করেছিলেন এবং সাধারণ জনগণকে উস্কানোর কাজ করছিলেন।
নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দল বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। পুলিশ ঘৃণা, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদানকারীদের তালিকা তৈরি করে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে দেখাতে চাইছে কোনও দলই এই দোষ থেকে মুক্ত নয়। বিরোধীরাও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নেবে না, বিজেপির এবার সেই প্রশ্ন তুলবে।