প্রতীকী ছবি।
আবার মহিলা খেলোয়াড়কে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল কোচের বিরুদ্ধে। এ বার আর সাইক্লিং নয়, যৌন হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড় সেলিং (নৌকা চালানো)। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে একই রকম দু’টি মারাত্মক অভিযোগ ঘিরে বিস্মিত দেশের ক্রীড়া মহলও। এই কোচ আবার তিন বারের অলিম্পিয়ান।
এ ক্ষেত্রেও ঘটনাস্থল বিদেশ। জাতীয় পর্যায়ের এক মহিলা সেলর (নৌকা চালক) অভিযোগ করেছেন, জার্মানি সফরের সময় দলের এক কোচ তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন। তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি করেছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ইয়টিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়াকে বিষয়টি একাধিক বার জানানো সত্ত্বেও কোনও উত্তর পাননি। সাইক্লিস্টের ঘটনায় স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) কড়া পদক্ষেপ করার পরই বুধবার রাতে সরব হয়েছেন ওই মহিলা সেলর। সাইয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর দেরি করেনি সাই। অভিযোগকারী মহিলা সেলরের সঙ্গে কথা বলেছেন সাইয়ের আধিকারিকরা। তিনি সাই কর্তাদের জানিয়েছেন, জার্মানি সফরে অভিযুক্ত কোচ তাঁর যৌন হেনস্থা করেন এবং প্রবল মানসিক চাপ তৈরি করেছিলেন।
ইয়টিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকেও রিপোর্ট তলব করেছে সাই। আগেই অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সাইয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘একজন মহিলা সেলরের কাছ থেকে সাই একটি অভিযোগ পেয়েছে। জার্মানি সফরে দলের এক কোচ তাঁকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেন বলে জানিয়েছেন। ওই সেলরের দাবি, ফেডারেশনকে আগে একাধিক বার অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার পরেই তিনি সাইয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। ফেডারেশনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি আমরা।’’
সাই জানিয়েছে, বিদেশে সেই শিবিরের ব্যবস্থা করেছিল ইয়টিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। শিবিরের খরচ দিয়েছিল সাই। অভিযুক্ত কোচকে ফেডারেশন নিয়োগ করে। ফেডারেশনের সুপারিশ মতো সাই তাঁকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। অভিযুক্ত কোচের যোগ্যতা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন নেই সাইয়ের। কারণ তিনি তিন বার অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় নৌসেনার সেলিং দলেরও কোচ তিনি।