স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপার নিউমারিক পোস্টের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। উল্লেখ্য, এর আগেও সুপার নিউমারিক পদ তৈরির জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল শিক্ষা দফতর। এই আবহে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের পদ আদতে একটি রোগকে লুকিয়ে ফেলার জন্য আরও একটি অসুখ ডেকে আনার মতো। বিতারপতির সটান প্রশ্ন, ‘এই পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি যে হবে না সেই প্রতিশ্রুতি কে দেবেন?’
এর আগে যখন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচারাধীন ছিল, তখনও রাজ্যের তরফে একবার সুপার নিউমারিক পোস্টের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই পদ তৈরি করা বিভ্রান্তিমূলক। পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য ছিল, সরকার এই পদক্ষেপ করলেও তা আদালতের চোখে গুরুত্বহীন। এদিকে এই পদ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের একাংশকে এই সুপার নিউমারিক পদে চাকরির টোপ দিয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা চলছে।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে এই পদ তৈরির পক্ষে যুক্তি, যাঁরা চাকরি না পেয়ে অসন্তুষ্ট, তাঁদের দাবি ন্যায্য হলে তাঁদের চাকরি দেওয়ার জন্য সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি অনুপ গুপ্ত নামে শিক্ষক পদের এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন হাই কোর্টে। এদিকে এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিদ্দিক গাজি নামে এক ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে মামলাকারী অনুপ গুপ্তর দাবি, নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় তাঁর নাম ২০০ নম্বর স্থানে থাকলেও তিনি নিয়োগপত্র পাননি। কিন্তু নিয়োগপত্র পেয়েছেন ২৭৫ নম্বর স্থানে থাকা সিদ্দিক গাজি। তিনি গণিতের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিদ্দিক গাজিকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।