বিজেপি থেকে নুপূর শর্মার সাসপেনশনের পর থেকে নেটানাগরিকদের একটা অংশ প্রকাশ্যেই তাঁর সমর্থনে সুর ছড়াচ্ছেন। একাধিক মুসলিম দেশ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতির মাঝেই চলছে তাঁকে সমর্থনের ডাক।
কৌশিক দে লিখেছেন, “নিন্দা করার ভাষা নেই। এ কোন্ দেশে বাস করছি আমরা! চারিদিকে শুধু হতাশা আর হতাশা। আর পশ্চিমবঙ্গ বাসী হলে তো ডাবল্ হতাশা।“ দেবাশিস ঘোষ লিখেছেন, “হিন্দুরা কোন প্রতিবাদ করে না বলে এদের সাহস বেড়ে গেছে।“ উত্তম প্রামাণিক লিখেছেন, “আর যখন হিন্দু ধর্মের অপমান করে তখন আমরা সবাই মজা করি কি লজ্জার বিষয়।“
প্রবীর বিশ্বাস লিখেছেন, “এবার থেকে ভারতে এটাই হবে নুপুর শর্মা এক দম ঠিক মোহন ভাগবত ভুল পথে। “ প্রাণগোপাল মুখার্জি লিখেছেন, “যা ঘটেছে তা অন্যায় তা সরকার ব্যাবস্থা নেবে। কিন্তু ইরান কাতার কুয়েত এদের মাথা ঘামানো কোন মতে মেনে নেয়া যায়না। এটা ভারতের ভিতরের ব্যাপার।”
উঠে আসছে বিপরীত সুরও। চিন্ময় মিত্র লিখেছেন, “কাঠে কাঠে পড়লে কি হয়, মালুম পাচ্ছে। ঘরেতে অনেক কিছু পাঁয়তারা করা যায়, ঘরের বাইরে একেবারে ঠুসে দিয়েছে। সব সময় এক ধর্ম, আরেক ধর্ম সম্পর্কে যার যা মনে আসছে আক্রমণ করছে। এদেশে যে, যে রকম ভাবে তার নিজের ধর্ম পালন করতেই পারে।“ আয়ুব আলি লিখেছেন, “কোনো ধর্মকে অপমান করা ভারতের সংবিধান অনুমোদন দেয়না। হিন্দু হোক বা মুসলিম যারা এই ভারতে ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করবে। তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ভারতের আর্থিক পরিকাঠামো তলানিতে। সেদিকে লক্ষ্য না দিয়ে ধর্মের পিছনে পড়ে আছে।“
প্রসঙ্গত, রবিবার বেলার দিকে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপি। যেখানে বলা হয়েছে, ‘ভারতের ইতিহাসে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। বিজেপি সব ধর্মকে সম্মান করে। এভাবে কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। বিজেপি কখনই এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না।’