বেঙ্গালুরুতে আজ সোমবার (৬ জুন) থেকে রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্ব শুরু হয়েছে। বাংলা ২০১৯-২০ সালে রঞ্জির ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে গিয়েছিল। এবারও গ্রুপ পর্বে দারুণ খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে নেমেছে বাংলা দল। ম্যাচের প্রথম দিনে বাংলার ব্যাটারদের মাস্টারক্লাসে ব্যাকফুটে সৌরভ তিওয়ারিরা।
সবুজ ঘাসে ভর্তি পিচে টসে জিতে বোলিং করতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি ঝাড়খণ্ড অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারিকে। তবে শুরুতেই বাংলার দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অভিষেক রমন ঝড়খণ্ডের বোলিংকে ভোঁতা করে দেন। ৪১ রানে পেশির টানে রমন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর সুদীপ ঘরামি ব্যাটিংয়ে নামেন। গত তিন ম্যাচে দুইবার শূন্য রানে আউট হলেও ঘরামির ওপর আস্থা রেখেছিলেন কোচ অরুণ লাল। সেই আস্থার মান রাখলেন ২৩ বছরের তরুণ ব্যাটার। এদিন ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ারের প্রথম শতরানটি করে ফেললেন সুদীপ।
১৭৫ বলে ১২টি চার এবং একটি ছক্কার সহায়তায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৮৮ রানের ওপেনিং পার্টনাশিপের পর প্রথমে অধিনায়ক অভিমন্যুর সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ দেন সুদীপ। অভিমন্যু ৬৫ রান করে সুশান্ত মিশ্রর বল ভুল জাজ করায় এলবিডব্লু হন। তবে বাংলার ব্যাটিং ইনিংসের গতি এতে কমেনি। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ক্রিজে এসে বাংলার মোমেন্টাম ধরে রাখেন। তিনিও অর্ধশতরান করেছেন। প্রথম দিন শেষে সুদীপের সংগ্রহ ১০৬ রান ও অনুষ্টুপ ৮৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অনুষ্টুপ-সুদীপের পার্টনারশিপ ১৭৮ রানের। দিনশেষে বাংলার স্কোর মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান। নিঃসন্দেহে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দারুণ শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে বাংলা দল।